রাম ও রহিম যতই প্রীতির বাঁধনে আবদ্ধ থাকুন না কেন, যতই মিলমিশ থাকুক না কেন, সৌহার্দ্যের ভ্রাতৃবন্ধনে,রামের দুর্গাপুজোয় রহিম কিংবা রহিমের ঈদে রাম নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেন না,গুটিয়ে রাখেন, পরস্পরের বিভাজনের কি এক অদৃশ্য দূরত্ব রেখা থেকে-


যে যার এক একটা আলাদা আইডেন্টিটি তৈরি হয়ে আছে, কোথাও বা, তা জাতি, কোথাও বা বর্ণ,
কোথাও বা,ধর্ম, কখনও বা তা,রাষ্ট্র-


তবে,ভাষার কোনো কাঁটা তারের বাঁধন নেই।  মেঘের মতো বাধাহীন অবাধ তার গতি। সার্বজনীন সঞ্চারিত তার সর্বগ  সঞ্চরণ। ভাষা পথের পদব্রজে সমবেত বন্দনা গানে সামিল হন রাম ও রহিম, লামা ও ডেভিড, একত্রে।  অনাবিল আনন্দ ধুলির সে সৌরভে, মুখর হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস। তথাকথিত রাষ্ট্রের অনতিক্রম্য প্রাচীর রেখা অবধি ধুয়ে যায়, মুছে যায়। পৃথিবীর দুই বিপরীত গোলার্ধ মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় একসঙ্গে, একাসনে-


কলকাতা থেকে বাংলাদেশ দেখেছি এতকাল। আজ সেই বাংলাদেশকে দেখলাম, সুদীর্ঘ উত্তর-পূর্ব পাড়ি দিয়ে, ছোট্ট এই আগরতলা থেকে। দৃষ্টিকোণ পাল্টে দিতে পারলে দর্শন বদলে যায় একেবারে। প্রমাণ হলো, আরও একবার।


বাড়তি কিছু পেতে কার না ভালো লাগে! তবে,
ঘুষ আর পুরস্কার এক নয়। কে না জানে, ঘুষের চলাচল লোকচক্ষুর অন্তরাল। কোনো আড়াল আবডাল নয়, প্রকাশ্য দিবালোকে এতো সাক্ষীর সাক্ষ্য ভরা এ  মিলনায়তন পরিতুষ্ট হলো আজ, পরিতোষের পারিতোষিকে-