জ্যোৎস্নার ভাঁজ খুললেই দেখতে পাবে
একটি নদীর আত্মকথা
পরিযায়ী পাখিরা হিন্দুকুশ পেরিয়ে
হিমালয়ের পথ ধরে এক একটা ছবিএঁকেছিল
যা উজ্জ্বল নদীমাতৃক দ্বীপ দর্পণ স্নিগ্ধতা ।
আলো আঁধারের মিলন তরঙ্গে
আর্য-অনার্যের ভাটিয়ালির প্রতিবিম্ব
লোপমুদ্রা খনা গার্গেই বিশ্ববারার
কৃষ্টিময় অলকানন্দায়
নাক্ষত্রিক যে পদ সঞ্চালন
বেদ উপনিষদের আকাশভরা তারা
স্থলপদ্মে আঁকা -রামায়ণ মহাভারতের নির্যাস
নদীকে দিয়েছে, সরস্বতীর তরঙ্গময় কাব্যিক
অনুশাসন
পারিজাতের ছত্রছায়ায়- যে মাঝিরা ছুঁয়েছিল দাঁড়
আর্যভট্ট ,বরাহমিহির ,জীবক কালিদাস থেকে
আজকের- বোস, কালাম কিমবা সি ভি রমন
পার্থিব কল্পতরু-সৃষ্টির আষাঢ় ।
অথচ কত লুটেরার হিংস্র থাবা ,বিচ্ছিন্ন আশ্বাস
পাঁপড়ি কেঁদেছে কীটের জ্বালায়
যুগ থেকে কাল
চলমান বেদনার দীর্ঘশ্বাস !
লুণ্ঠিত নদী ফসল হারায়- বিভীষিকাময় দ্বন্দ্ব
মামুদ ,ঘোরী ,ইঙ্গ-ফরাসির সিন্দুকের অভিকর্ষ
পশ্চিম দিল পরমাণু বোমা হাহাকার মাতৃদুগ্ধ
মাটির কুটীরে, আঁকা লাবণ্য-হারায় তার
স্বাভাবিক উৎকর্ষ !
তবুও আছে জলপ্রপাত ,পাঞ্চজন্য শাঁখ ,হিমালয়
জ্বালে প্রদীপ - গঙ্গা যমুনার শীতলতায়
কত দ্বীপের সমাহার ।
পারাবত উড়ে, এদেশ -ওদেশ,শান্তির ললিত ধ্বনি
গাঙচিলে ভরা তীর্থ-মুখর প্রেমেরই অভিসার ।
যারা এসেই ফেলেছে পা-নদী গর্ভগৃহে
দেওয়া নেওয়া করে ছায়ায় মিলেছে
আধ্যাত্ম-পরমাত্মিক আবহে !
সূর্যের দেশ ,সবুজ বনানী -মরূও উঁকি দেয়
আমার স্বপ্ন, ক্যানভাসে এখনো
নক্ষত্রের আলো সাজায় !
এখনো মেহেন্দী ,অপূর্ণতায় -হাস্নুহানার দিগন্তে
আবর্জনা ,রেষারেষি-যাক মুছে যাক
জননীর নিষ্কলুস পদপ্রান্তে ।