জন্মেছিলে মীরা বাড়ীতে-
     বংশ মর্যাদা ছিল ভাল,
জন্মকালে বাবায় বলেছিল,
     ছেলে জ্বালাবে বংশের আলো।
বাবার ছিল বিশাল জমিদারী-
      মা ছিল শিক্ষিতা,
দু'জনে মিলে মনে মনে আটল,
     ছেলেকে করাবে উচ্চশিক্ষিত।
বার বছরের কালে বাবায়-
     পাড়ি জমায় নিজ দেশে,
মা তাহার বাবার চিন্তায়,
     বলত বেঁচে থেকে কি লাভ আছে।
বছর দু'য়েক পড়ে মাকে-
      এমন কঠিন রোগে ধরে,
বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে,
        চিকিৎসা করাই তারে।
জমি-জমা বিক্রি করে -
        হয়ে গেলাম সাড়া,
দু'মাস পড়ে মায় আমার,
        আকর্ষিক গেল মারা।
অভাব নিয়ে পাড়ি জমাই-
        ঢাকার শহরে,
কাগজ টোকাই বিক্রি করি,
       পেটের দায়ে পড়ে।
এমনি ভাবে ওর বয়স-
      বাইশে দিল পাড়া,
একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে,
      খেয়ে গেলেন ধরা।
বিয়ে করলেন ঐ মেয়েরে-
     পঞ্চাশ হাজার টাকার কাবিনে,
কাবিন নামায় স্বাক্ষর করলেন,
     ওর এক বন্ধু জামিনে।
স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে-
     কাজ করে মানষের বাসায়,
মালিকের টাকা চুরি করে,
     ওখান হতে পালায়।
বছর পড়ে জন্ম নিল-
    ছোট একটি শিশু,
আদর করে তাহার স্ত্রী-
     নাম রাখিলেন মিশু।
ছেলে একা কাজ করে-
     তা দিয়ে চলে না সংসার,
বাড়ী ভাড়া না দিতে পাড়ায়,
     বস্তি হয় তাহার ঘর।
হেমন্তের শেষে দারুন শীতে-
     কোথায় পাব কাথা,
আড়ৎ হতে কিনে আনল-
     অল্প দামে খান চারেক বস্তা।
সেলাই  কইরা কাথা বানাইয়া-
     শীত তাড়াইবার তরে,
দারুন শীতে কষ্টের মধ্যে,
     সন্তান নিয়ে মাথা গুজিবারে।
সকাল হলে কাজে যায়-
      সন্ধায় আসে নীড়ে,
আমার জীবন ফুটপাতের,
     বাবার জমিদারী হারিয়ে।