ধর্মের ইখতিলাফ (২০৮৬ তম)
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
২১-০৩-২০২৩
=======================
কাদিয়ানী ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ উম্মাহ্
কিন্তু শবেবরাত কেন নয়?
তারাবিহ রাকআতে দ্বিমত আছে রে
কিন্ত তা নিয়ে দ্বন্ধ কেন হয়?


যে যার মত নফল আমল করবে
বিচারের মালিক তো রব,
তা নিয়ে আমাদের ঢিল ছোঁড়াছুড়ি
নিজেরা শুধু মিছে কলরব।


অনেক মোহাদ্দেস বয়ানে বলেন
আসল সহীহ আকিদা ধর,
কোরআন হাদিস যাচাই করে ই
মুসলমান খাঁটি আমল কর।


হুজুর মৌলভীদের বয়ান বক্তৃতা
কখনো কারো বিপক্ষে যায়,
কত শত গালিগালাজ তার বিরুদ্ধে?
তাদের করে মগজ ধোলাই।


ইসলামে কোরানে গোপনীয় বলতে
কোন বিধান কি আছে?
হতেই পারে আমার আমল,কাজ
কিছু ভ্রান্ত অথবা মিছে!


যাচাই করার বাচাই করার সুযোগ
এখন সবার হাতের কাছে,
গালাগালি করে শুধু শুধু কেনই বা
পাপি,গোনাহগার হই মিছে।


মৌলিক যে আমল ফরয ওয়াজিব
সেগুলো ঠিক রাখতে পারি,
মোস্তাহাব নফল নিয়ে কেন এতো?
আমরা করছি বাড়াবাড়ি।


পীর মাশায়েখ মুফতি সুফি দরবেশ
যত বড় বড় দ্বীনের ডিগ্রীধারী,
সবাই খাঁটি ঈমানদারের অনুসরনে
সামনে আমলের পথ ধরি।


ধর্মের ইখতিলাফ তো সমস্যা নয়
দ্বীনের সৌন্দর্য বা আলো,
ধর্ম নিয়ে মতানৈক্য হওয়া স্বাভাবিক
তাকে অন্য দলে ফেলো?


এক মুসলমান আরেক মুসলিমের
কাছে ভ্রাতৃ সমতা ধরি,
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আসুন আমরা
দ্বীনের সহীহ্ আমল করি।