তোমার শিরীন বচন, আজও কর্ণে মধু
প্রস্রবণ বয়ে চলে,
নয়নে প্রবাহিত সুখের আঁসু।
খরস্রোতা রুমাঞ্চ স্মৃতি, মুছে দেয়
সিক্ত কপোল।
আনমনা মনে, আজও দোলা দিয়ে যায়,
পশ্চাৎ হতে সন্তুপর্নে,
লোচন চাপা হস্ত পরশ।
দেয়ালে কর্ণ পেতে,
আজও শ্রবি নূপুর নিক্কন।
আজও তটনীর তটে, বসে বসে ভিজি
তোমার জলকেলিতে।
পাড় ধসে আজও পড়ি, তোমার
স্নানের কালে।
এখন স্বপ্নগুলো পুঁড়ে
কালের রোদ্দুরে,
তোমার পাল্টে ফেলা খোলসটা বক্ষে ধরে
বেঁচে আছি আজও।
স্মৃতির চূঁরাবালিতে খাবি খাই,
জীর্ণতার ক্ষয় রোগে, অবসন্ন অবসাদ।
আঁখের মতো মাড়িয়ে আমায়
পিয়ে নিয়েছো সুখটুকু।
অসাড় অবশিষ্টাংশ, ঠেলে দিয়েছো
জলন্ত বিরহী উনুনে,
জীবন নায়ে এখন, ঊনপঞ্চাশ বায়ূ বহে।
হয়ত সেদিন খুঁজবে,
যেদিন এ জীর্ণ তনু, লোকান্তরে মিশবে।
-------০---------