আমাকে এখন খুঁজে পাবে মাটির খুব কাছাকাছি।
দম্ভের সবগুলো প্রাসাদ মাড়িয়ে
তিলক্রমে নেমে এসেছি দূর থেকে খুব কাছে।
যেখানে মিশে আছে তোমার পবিত্র ভালবাসা
কাছে পাবার তিয়াসতিক্ত মনোহরা চাহনি
নির্বাক স্বপ্নময়তা।
সুদীঘল কুন্তলের স্নিগ্ধ পরিমল মেখে শুয়ে আছো তুমি
চির অভিমানী ঘুমের দুর্ভেদ্য প্রাচীর গড়ে।
ঠিক সেখানেই আজ আমি দাড়িয়ে
রণাহত পরাস্ত সৈনিকের মতো
তোমার ওই মাটির গৃহের সাড়ে তিনহাত দুর্বা ছাওনির ঠিক পাশে।
চোখ মেলে দেখো,
বকুল পুষ্পগুলো আজো ঝরেপরে প্রত্যুষে
তোমার অঞ্চলের পরশ পাবে বলে
একটি পুষ্পমাল্য হবে বলে।
দেখো, আধমরা বিকেলগুলো কেমন তেজীয়ান হয়ে উঠে
দূর্বাবুকের কষ্ট জীর্ণতা ধুয়ে দেয় শবনম।
রক্তজবাগুলো তোমার পথ চেয়ে থাকে
কই? তুমি তো আসো না,
প্রতিক্ষায় ওরা অভিমানে শুকিয়ে শুকিয়ে মরে।


বড্ড অভিমানী ছিলে তুমি
কখনোই বুঝতে চাইনি তোমায়
আজ ধসে গেছে আমার সব অন্ধত্বের দৌরাত্ম
শুধু তরতরে বেড়ে উঠেছে তোমার রোপিত নির্বাক সেই ভালবাসা।
এই দেখো,
তোমার দেয়া বকুল মাল্য অবহেলায় শুকিয়েছে,
তবু গন্ধটা আজও শুকায় নি।
চোখের তপ্তজলে ভিজিয়ে আজ,পড়েছি তা তৃপ্তির স্বাদ নিয়ে গলে
তুমি কি আসবে না?
অভিমানের ওই নিঃছিদ্র প্রাচীর ফেড়ে?


-সংশোধিত