বারে বারে ক্ষণে ক্ষণে,
মায়ের ওই বদন পানে,
নয়ন যূগল মেলে চেয়ে চেয়ে  থাকি,
এই বুঝি শেষ দেখা
আর দেখা হবে নাকি!


স্বাদ মেটেনা তাই অপলকে থাকি,
শমন এসে যদি মুদে দেয় আঁখি!
যদি কেহ কেঁড়ে নেয়
মায়ের চাঁদ বদন,
কপালেতে কে দিবে গো
আর্শীবাদের চুম্বন?


তাই ভেবে মায়ের বদন
হেরি সর্বক্ষণ,
মা যে আমার ত্রিভূবনের
অমূল্য রতন।
নেই মোর বিদ্যাবৃদ্ধি
নেই ভজন সাধন,
কেমনে রাখব ধরে
সেই পরম ধন।


আঁড়াল হলেই বারে বারে
কেঁদে ভাসাই বুক,
মা হারালে কে দিবে গো
এ অসীম  সুখ?
ত্রিভূবনের সমস্ত সুখ
জনম দুখী মা,
মা যদি গো পাশে থাকে
জান্নাত চাইনা।


মায়ের ছেঁড়া আঁচল তলে
হাজারো জান্নাত,
মায়ের মনে কষ্ট দিলে
সকলি বরবাদ।
মায়ের চোখের অশ্রু দেখে
খোদার আরশ কাঁদে,
সকল মুশকিল আছান হয়
মায়ের আর্শীবাদে।


মায়ের চোখের একফোঁটা
আর্শীবাদী জলে,
সপ্তদোযখ ডুবে যাবে
অথই গভীর তলে।
মা যদি নেক দোয়া করে
সন্তানের তরে,
স্বয়ং বিধাতা তাঁর
হেফাজত করে।


মায়ের পদের খানিক ধুলি
এতোই  মহামূল্য,
সপ্তধরার  জহরতেও
হবেনা তার তুল্য।
মাতা যার বেঁচে আছে
সে ই তো পরম ধনী,
অজস্র সুখ স্বপ্নের ভান্ডার
সে যে পরশমণি।


থাকতে ধরায় করো যতন
সেই অমূল্য ধন,
হারিয়ে গেলেই বৃথা সবই
অরণ্য ভূবন।
যতন করিতে পারেনি রাসূল
সেই অমূল্য ধন,
শৈশবেই সে হারিয়ে ফেলেন
প্রাণের প্রিয়জন।


হাদিস দিয়ে বলে গেছেন
অমূল্য বচন,
"মায়ের খুশিতে স্রষ্টা খুশি
খুশি ত্রিভূবন "।
অর্থের তরেসেই ধন ছেড়ে
রয়েছি প্রবাসে পরে,
মায়ের কথা মনে হলেই
শুধু অশ্রুঝরে।


মাগো তুমি আমায় ছেড়ে
যেওনা গো চলে,
কেমন করে বাঁচবে বলো
তোমার পাগল ছেলে।
ত্রিভূবনের সমস্ত সুখ
তুমি আমার মা,
পেটের দায়ে প্রবাস খাটি
রৌদ্রে পোড়াই গা।


অভাব যদি না থাকত মা
আমার কুঁড়েঘরে,
তোমার বুকে ঘুমাতাম মাগো
সারাজনম ভরে।
দূরপ্রবাসে সন্তান রইলেও
থাকে তোমার কাছে,
মানব রূপে তোমার মত
দরদী কে আছে।


স্রষ্টার পরেই মাগো তোমায়
আপন বলে জানি,
মাগো তুমি অষ্টবেহেশত
আমার চোখের মণি।
মাগো তোমার পরশ পেলে
যাতনা ভুলে যাই,
খুদা তা'লার জান্নাতেও বুঝি
এত সুখ নাই।


তোমার আগেই যদি মা
আমি যাই গো মরে,
কবর পাশে একটু এসো
আসব আবার ফিরে।
আমায় ছেড়ে কবর দেশে
যেওনা গো মা,
তোমা বিনে এক মুহূর্তও
বাঁচতে পারব না।


মা জননী থাকতেও যেজন
করে অবহেলা,
হোক না সেজন অগাধ জ্ঞানী
তবুও হাবিয়ার ময়লা।
মাকে যেজন শ্রদ্ধা করে
সে ই তো মহান জ্ঞানী,
"মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত"
রাসূলেরই বাণী।


মা তুমি মহীয়সী
চির মহীয়ান,
আদৌন্তও শেষ হবেনা
তোমার গুণগান।
এ ধরার প্রদীপ দর্শন
মাগো তোমারি অবদান।


-সংশোধিত


রচনাকালঃ২৫/১০/২০১৩ ইং
হলুদিয়া,
মধুপুর,টাংগাইল।।