তখন সাতকোটি মানুষের মনে জ্বলছিলো সুপ্ত আগ্নেয়গিরির আগুন।
চোখে বিদ্রোহী ফাগুন। বজ্রমুষ্টিবদ্ধ হাত। কণ্ঠে স্বাধীন সুরের গুনগুন।
পাকিস্তানিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, নির্যাতিত, ক্লান্ত- সকল বাঙালি বুক ভরা আশায়–
সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক আর অর্থনৈতিক মুক্তির প্রত্যাশায়-
বঙ্গবন্ধুর একটি তর্জনীর নির্দেশের অপেক্ষায়-
তাৎক্ষনিক সাড়া দিতে- সদা জাগ্রত অতন্ত্র প্রহরায়।


৭ মার্চ ১৯৭১, রেসকোর্স ময়দান, ঢাকা।


পুরো ময়দান জনসমুদ্র। উৎসুক সব চোখ–
বঙ্গবন্ধুর একটি তর্জনীর নির্দেশের অপেক্ষায়-
নেতা আসলেন, আঙুল উঁচিয়ে বললেন–
"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
জয় বাংলা।"


এরপর, ৯ মাস
নতুন ইতিহাস!


একটি তর্জনীর নির্দেশে- একটি যুদ্ধ।
একটি তর্জনীর নির্দেশে- একটি বিজয়।
একটি তর্জনীর নির্দেশে- একটি পতাকা।
একটি তর্জনীর নির্দেশে- একটি জাতি।
একটি তর্জনীর নির্দেশে- একটি মানচিত্র।
একটি তর্জনীর নির্দেশে- একটি বাংলাদেশ।


এবার আমার কথা বলি–
যতবার ৭ মার্চের ভাষণ শুনেছি-
ততবারই কল্পনায় রেসকোর্স ময়দানের জনতা হয়েছি!
এই প্রজন্মের এই আমি কৃতজ্ঞ সদা–
বঙ্গবন্ধুর একটি তর্জনীর নির্দেশে-
জন্মেই পেয়েছি প্রিয় বাংলাদেশ, প্রিয় স্বাধীনতা।