বাদল দিনে হিমেল হাওয়ায়- মন ভাসিয়ে মেঘের ভেলায় কল্পনার ডানা মেলে
গরম চায়ে পিপাসা মেটাই, আরাম কেদারায় পা নাচিয়ে–
ভাবি, স্বর্নালি জীবন সে যে এসেছি ফেলে।


এমনও বাদল দিনে বন্দী কি আর থাকতাম- বয়েসটি হতো যদি উনিশ-কুড়ি!
কদম সাথে মিতালী হতো, হতো বৃষ্টিতে ভিজে হেথায় সেথায় কতো ঘোরাঘুরি।
নদীর উপর ঝুলন্ত গাছের ডাল উঠে দিতাম একটা লাফ
মায়ের বকুনি ভয় ছিলোনা, ভয়ের ব্যক্তি একজনই ছিল-বাপ!
চোখ এড়ানো যদি যেত তার-
সেও ছিলো বাদল দিনের আরেক উপহার!
দুষ্ট ছেলের দল ভারি করতে ছাড়তাম হাঁক–
বের হ শালারা! আয়, যাই, খেলার মাঠে- নদীর পাড়ের বাক।
সবাই মিলে হৈহুল্লোর, মানতো না কোন বাধা এ মন
নানান খেলায় কাটতো বেলা, আনন্দের সুতায় সময় ছিলো বাধা সারাক্ষণ।


এখন, বৃষ্টি এলে- জানালা দিয়ে দেখি অখবা চলার পথে, ছাতা ধরি মেলে! মনে পাই ভয়–
যদি শরীর খারাপ হয় কিংবা যদি হয় সময়ের অপচয়!
অর্থনৈতিক ভাবনাও আছে সাথে!- এভাবেই কাটে সময় বাদল দিনে আজ
এখন বৃষ্টি: ফেলে আসা স্বার্নলী জীবনের শুধুই স্মৃতির বুদবুদ- মস্তিষ্কের মাঝ।