আর কতকাল বাজাবে ওগো; কপালের ভাঁজে হতাশার বাঁশি।
সে সুর শুনতে পাবে কি রাধা? তোমরা যে বাংলার আলুচাষি।  


এক বিঘাতে লাভ হয় কত? লাভের চেয়ে অনেক বেশি খরচ।
তবু ঠিক গতিয়ে দেবে; ফকির বাবারা বহু প্রতিশ্রুতির কবচ।  


পাশে আছি! সাথে আছি! কথা গুলো চিরকাল হাওয়ায় ভাসে।
বেশির ভাগ ফসল তো মাঠেই নষ্ট। কতটুকুই বা হিমঘরে আসে?  


বণ্টন কোথায়? দর-দাম কোথায়? আলু পড়েই থাকে মাঠে।  
তবুও ঠিক মুনাফা লুটে নেবে; যারা সাপ্লাই করে বাজার-হাটে।  


ফাঁক কোথায়? মাঠের থেকে হাটের দর কেন এতো ফারাক?
কালোবাজারি চলছে মধ্যিখানে। তবু উপর তলা থাকে নির্বাক।  


আত্মহত্যা কি কাছে ডাকে? নাকি ওরা বাধ্য করাচ্ছে আজকাল।
হে আলুচাষি- আজ মরলেও মহাজন ঠিক আসবে আগামীকাল।


আলু খুরিয়ে! গলায় মালা ঝুলিয়ে; যতই করো না প্রতিবাদ।
আমাবস্যার কালো আকাশে; উঠে না তো কখনো পূর্ণিমার চাঁদ।  


চাঁদের দেখা পেতে হলে। মশাল জ্বালো। তাড়াও কালো মেঘ।  
ন্যায্যতার জ্যোৎস্না ঠিক আসবে। আসবে বাঁচারও উচ্ছ্বাস-আবেগ।


           *****