আর কত দিন পাঁজরের কাঁটা বেরিয়ে যাওয়া
আমরা আমাদের এ জীবনকে, ওদের হাতে বিকিয়ে দেবো  
শাসনের বাটখারার সাথে, ভীরুতার দাঁড়িপাল্লায় !
আর ওরা ইচ্ছে খুশি নিষ্ঠুরতার কাঠি ফুঁড়ে ফুঁড়ে;  
বেগুন পোড়ার মত করবে  
আমাদের শরীরকে জীবনকে মনকে বঞ্চনার উনুনে।  
চটকে খাবে আমাদের প্রাপ্য অধিকার গুলোকে,
বিলাসিতার আরাম কেদারায় বসে
সোনায় বাঁধানো দু'পা নাচিয়ে।    
      
আর কত দিন আমরা আমাদের বুকের গর্তে
পুষে রাখবো দারিদ্র্যতার গুমট যন্ত্রণা !    
আর বারবার ওদের লোলুপ ডাকে  
ছোট্ট খুশির লেজ নাড়তে নাড়তে ছুটে যাবো
ওদের মায়াবী ফাঁদে পা দিতে।
এবং শেষে  ফিরবো কান্না লেপটানো চোখে;
রক্তাক্ত আশার লাশের সাথে  
ওদের গর্বোদ্ধত পায়ের তিক্ততা কাঁধে নিয়ে ।    


আর কত দিন?  আর কত দিন ?


        আর কত দিন
ওরা ওদের দাম্ভিক ঐশ্বর্যের চাকায়
প্যাডেল কষতে কষতে চলে যাবে
আমাদের বুকের মাঝখান দিয়ে খেয়াল খুশি ।
আর আমরা আমাদের চেতনার মেঝেতে
সাহসিকতা কে শিশুর মতো বসিয়ে রেখে;  
হাতে ধরিয়ে দেবো দ্বিধা-বোধের ঝুমঝুমি ।
ভুলে যাবো প্রতিবাদের দুন্দুভি বাজাতে ।  
ভুলে যাবো মেরুদণ্ডের জং ছাড়িয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে  ।


আর কত দিন! আর কত দিন
দেখবো মুখ বুজে এ শোষণ-পীড়নের জীবন চক্র!!

এসো আজ ভীরুতার পিউপা ভেঙে পতঙ্গে মতন
  নতুন করে বাঁচার আনন্দ ঠোঁটে নিয়ে সজাগ হই।
হৃদয় মাটিতে সব দুর্বলতার শিকড় উপড়ে ফেলে
ওদের সামনে সুনামি মতো আছড়ে পড়ি।
বঞ্চিত ক্ষোভের উন্মত্ত ফণা তুলে
প্রতিবাদী হয়ে গর্জে উঠি।  
লিখে যাবো আরও একবার না হয়-
'আজ পিশাচ নিধনের রক্তাক্ত ইতিহাস।'  
বুনে যাবো আরও একবার না হয় -
'আমাদের মৃত রক্তে আগামী প্রজন্মের সুস্থতার বীজ।'


              *******