দু'পা বেঁধে বাদুড়ের মতন উল্টো করে তোমাদের ডেরায়
যতই ঝুলিয়ে রাখো আমায়, যতই সারাদিন অত্যাচারের
বিদ্যুৎ চাবুক মারো আমায় ;  
তবুও আমি আমার জমি দেব না!  
এই জমিতেই পূর্ণ হয়ে আমাদের ভুখা পেটর অর্ধেক গর্ত।  
পালিত হয় এ মাটিরই আঁচলে আমাদের মাটি রঙের জীবন।


ঝুলন্ত অবস্থায় ডাল-পালার মতন যতই ছেঁটে ফেলে দাও
অমানবিক ভাবে তোমরা আমার এ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ;
তবুও আমি আমার অধিকার গুলোকে সঁপে দেব না।
সঁপে দেব না তোমাদের শোষণের মাটি আঁকড়ে ধরা
নীল পায়ের নিচে।  
বরং আমার এ কণ্ঠ থেকে বেরবে প্রতিবাদী মেঘের গর্জন,
বেরবে আর পাঁচ নিপীড়িত ভুখা পেটে কে সঙ্ঘবদ্ধ
করার রোদ্দুর দীপ্ত আহ্বান।  


বোতলের ছিপির মতন আমার মুণ্ডুটাকে দেড় প্যাঁচ ঘুরিয়ে
পারো তো খুলে হাঁ করে মিটিয়ে নাও তোমরা তোমাদের
প্রয়োজন মত রক্তের যত তৃষ্ণা।  
তবুও আমি মাথা নত করবে না
তোমাদের দাম্ভিকতার কাছে,
তোমাদের শোষণের কাছে ,
তোমাদের শাসনের খড়গের কাছে ।
এমন কি আমার কাটা মুণ্ডুটা থেকে একটুও ভয় মাখানো
কান্না বেরবে না।  বরং বেরবে আরও একবার
     রক্তচক্ষু প্রতিবাদের গোঙানি।
বেরবে শ্লোগান জড়ানো শাণিত তরোয়ালের জিভ।  


অবশেষে কখনো যদি আমার শরীরের টুকরো টুকরো অংশ
জড় করে , আমার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চিতা জ্বালে
আমার মতন নিপীড়িত ভুখা পেট;
তোমারা সেদিন এসো কিন্তু হে পৈশাচিক মানব !!
এসো কিন্তু
সে আগুনে তোমারদের শেষ খাওয়ার রান্না করতে।

কারণ, আমার চিতার আগুন উষ্ণতা ততক্ষণে
তাদের শিখিয়ে দেবে-
তোমাদেরও চিতার আগুনের উপর কীভাবে
সেঁকে নিতে হয় ভুখা পেটের দু-পয়সার শুখা রুটি  ।


          **********