কারখানা প্রায় মাস খানেক হলো বন্ধ!


বুকের পাঁজরের ডাল-পালায় বাসা বেঁধেছে দারিদ্র্যতা।  
এরই মধ্য সে এ নতুন ঠিকানা পেয়ে
       পেতে ফেলেছে তার সংসার।    
দুঃখ-কষ্ট-হতাশা-যন্ত্রণাদের জন্ম দিয়ে
       এখন সে দিব্যি পা ঝুলিয়ে বসে আছে !  
    যে পা আমার পেট পর্যন্ত বিস্তৃত ...


   তবুও আমি ভারে ভেঙে পড়িনি এখনো।  
নিচে আমার পা অভাবের মাটিতে তার শিকড় চালিয়ে
কোন রকমে আঁকড়ে টিকিয়ে রেখেছে আমায়।


রাত্রি হলেই দারিদ্র্যতার ছানাপোনা গুলো
    ঘাড়ের শিরা-উপশিরার লতা বেয়ে  
     ডামাডোল করতে করতে মাথায় চলে আসে।
তারা যেন কোনো এক বিষণ্ণতার চকমকি জ্বালিয়ে  
   মাথার সব কোষে কোষে মনের লুকিয়ে রাখা  
           স্বপ্ন-আশা-ইচ্ছে গুলোকে খোঁজে।  
             ধরে ধরে মারে, ছিঁড়ে খায়।  
খাওয়ার শেষে আমার দু'চোখের জলে তারা তাদের
হাত মুখ ধুয়ে আবার আমার বুকের মধ্য এসে বসে।


         আরও একটা সকাল হয়ে যায় !  
রাত্রির জলে চোবানো বিধ্বস্ত ধূসর কালো মন
শুধু ভাবে -' আবার কারখানা কবে খুলবে? '  


                     ***********