বৃষ্টি ধোয়া সবুজ পাতার উপর যেভাবে
শরতের ঝুরো রোদ এসে আঁকে খুশির ছবি;
সেভাবে একদিন পাকা গম রঙের মেয়েটিও
তার ঠোঁটের লাল রঙ দিয়ে এঁকে দিয়েছিলো
এক চুম্বনের ছবি, এ ঠোঁটের উপর।
আর সুখের সফেন ভেজা গলায়
শান্ত সুরে বলেছিলো- 'অমন হাঁ করে কি ভাবছো?
কি ভাবছো! আমার প্রিয় প্রেমিক কবি। '
পারো তো ...
তুমিও আজ লেখাও এ দু'হাতের
পাতায় পাতায়, এ মনের খাতায় খাতায়
কিছু প্রেমের পঙক্তি এ সান্দ্র মুহূর্তে।
তোমার আঙুলের স্পর্শতায়
ভরিয়ে দাও আমায় ভালোবাসার কবিতায়;
আমি ফুটে উঠি শুধু তোমার কাব্যগ্রন্থ হয়ে।
কোকিলের সুর যেভাবে লেখে ফাগুনের গায়
সম্যক মুগ্ধতার সুখ বাণী; সেদিন প্রেমিক কবিও
একের পর এক লিখে গেছে তার অন্তর বাহিরে
কত না রঙিন অনুভব।
কবিতায় ভরাট হতে হতে সে যখন
এক ভালোবাসা কাব্যগ্রন্থ।
কোথা থেকে এক সৌখিন পাঠক এসে
তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তারে কিনে নিতে
চায় , জোর করে। অধিক মূল্যে ।
কবি চাইনি কিছুতেই সেদিন তার কাব্যগ্রন্থকে
অন্যের হাতে দিতে। কাব্যগ্রন্থও চাই নি
সেদিন তার কবিকে ছেড়ে যেতে।
তবুও যেতেই হলো নিরুপায় হয়ে
বুকে কষ্টের গর্তে পাথর আটকে
তাকে সৌখিন পাঠকের কাছে।
নির্জনতার রোদে পোড়া দুপুরের মতন
কবি আজ নীরব-শূন্য -একাকী।
আকাশের শরীরে লেগে খসে পড়া
চিলের ডাকের মতো শুধু মনে ভাসে
তার স্মৃতির ডাক।
সে কাব্যগ্রন্থ আজ কেমন আছে?
কাব্যগ্রন্থের কি মনে পড়ে কবিকে ?
সে কাব্যগ্রন্থের ভেতরের কথা গুলো কি
সে পাঠক ঠিক করে পড়তে পারে?
না কি সে কাব্যগ্রন্থ শুধুই ঘরে রয়েছে সাজানো হয়ে ।
কবি জানেনা !!
তবে কবি তার হারানো কাব্যগ্রন্থের কথাই ভাবে!
চোখের শিশির কণায় উজ্জ্বল হতে থাকে তার মুখ।
চারিপাশ জুড়ে যেন এক
আঁধারের মতো কলো গুমট দীর্ঘশ্বাস!
শুধু ঠোঁটে আঁকা তার সে চুম্বনের ছবিটা
কেমন করে যেন ধীরে ধীরে
সিগারেটের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে
ঝরে পড়ে কবির অজান্তে।
*********