এক ওভারব্রিজের উপর যেদিন প্রথম
তার শান্ত মুখের উপর পড়েছিলো
এ দৃষ্টির নরম রোদ; সেদিন হঠাৎ
ধু ধু মরু বুকটার উপর
কিছু ভালো লাগার মেঘ এসে হাজির,  
অতিথির মতন।
যেন কোথাও আত্মগোপন করেছিলো তারা,
তারই সাথে আমার দেখা হবার প্রতীক্ষায়।


কিন্তু তখনও বুঝিনি
সে ভালো লাগার মেঘে শুধু শীতল ছায়া নয় ;
থাকতে পারে প্রেম বৃষ্টির সম্ভাবনাও।
যে বৃষ্টিতে বুকের ঊষর মাটি ভিজে  
ফুটে উঠতে পারে সবুজ স্বপ্নের চারাও।  


চেনা নিয়মেই এরপর আলাপ পরিচয়।
তার সুরেলা কথায় প্রাণ তোলপাড়,
লাজুক হাসিতে মনের গ্রেফতার,
চোখের চাহনিতে বিমুগ্ধতা,  
চলার ছন্দে কাব্যময়তা ।


চেনা হতে হতে সে খুব কাছের ।


এক নদী জলে গুলিয়ে নিলাম
যেন জীবনের সব সুখ।  
হাসি-ঠাট্টা অভিসার নিবিড়তা ;
সাথে রাতদিন মনে খুশির ফসল ফলানো
শুধু তারে নিয়েই ।


কিন্তু সময়ের নিষ্ঠুর ছলনায়;
আজ সে চলে গেছে স্মৃতির পালক ফেলে,
অন্য কোনো আকাশে নতুন করে নতুন সুরে
উড়ার আহ্বানে।  মনের ডানায়
অন্য কোনো বসন্ত সুখ লেপে নিতে।  


এ বুক এখন
আগের মতই খাঁ খাঁ;  
পাঁজরে পাঁজরে জমেছে তীব্র! তীব্র নীল রঙ।
আর হৃদয়ের না বলা উজ্জ্বল কথারা  
কেঁদে মরে!
শুধু কেঁদে মরে!
কান্নার একলা দ্বীপে চির কুমারী হয়ে।


                  
                ******