আমাদের উনুনের পাশে আজও বিড়ালের নিশ্চিন্ত ঘুম!


পেটের ভেতর হাজার হাজার বছরের নিত্য সঙ্গী
হয়ে বয়ে চলা শুকনো ইটের মতো জলের খিদে!
মনেতে না পাওয়ার যুবক যন্ত্রণা।
চোখেতে কান্নার কুঁড়ে ঘর।


আমারা আজও লড়াই করি অভাবের সাথে
লড়াই করি অত্যাচারের সাথে ।
ভারবাহী পশুর মতন আজও আমরা
পিঠে অপমান বঞ্চনার বিদ্যুৎ চাবুক সয়ে,
শোষণের কাঁটা বুটের গুঁতো খেয়ে
কান্না-রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে বয়ে চলি কষ্টের বোঝা !
রোদের খোসা বৃষ্টির ছাঁট মেখে
কাজ করে চলি এক টুকরো দু'টুকরো
শুখা রুটি মেলার আশায়।


আমাদের স্বপ্ন বলে কিছু নেই!  
ছেঁড়া কাঁথার শিরা বেয়ে তা রোজই
চালান হয়ে যায় মহা আঁধারের দেশে।  


দিনের বৃদ্ধ সূর্য যখন গোধূলির বুকে
মাথা রাখতে রাখতে রাঙায় নরম মেঘেদের শরীর,  
আমরা তখন এক বুক ক্লান্তি নিয়ে ফিরে আসি
ছোট্ট অবসরের গর্তে ।


আর একটুকরো বাঁচার রসদে জিভ-গলা-পেট ভিজিয়ে
আবারও এক রাত্রির দেওয়ালে একটু স্বস্তির
পেরেক পুতে, ক্যালেন্ডারের মতো দু-দণ্ড ঝুলে থাকি;
আরো এক ভোরের কুঁড়ি ফোটার প্রত্যাশায় ।


                  ******