বাঁকা চাঁদের মতো হিংসারই আঁশবঁটিতে  
         কাটা হয়ে পড়ে আছে মানবতার মুড়ো!
কিছু পাষণ্ড ক্ষমতার উনুনে সাম্প্রদায়িকতার আগুন জ্বেলে
নগ্নতার কড়াইয়ে ফোটাচ্ছে বিভেদের তেল।
ভাজবে এবার মুড়ো টাকে  ;
তাই তাদের জিভ উচ্ছলে পড়ছে ভাতের ফ্যানের মতো
লালসার লালা; চোখ থেকে ঠিকরে পড়ছে নীল দৃষ্টির রোদ।


তারা অনেক আগেই কাঁচা উদরস্থ করেছে
লেজা-চাকা'টাও ।


এখন কে আছে এই শেষ ভাগ টুকু বাঁচাবার ?
কে আছে এই মহা অবক্ষয়ের কর্মযজ্ঞে জল ঢালবার ?  


স্বাভাবিক জীবনে গুলোর ভেতর এখন ভয়ের বীজ
দ্বিধা-বোধের জল পেয়ে অঙ্কুরোদগম হয়ে শিকড়
বিস্তার করেছে বুকের গভীরে।
সম্মিলিত শক্তি হয়ে গেছে আজ ছত্রভঙ্গ।


তবুও এমন এক বিপন্ন অবক্ষয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে,  
এক রোদে পোড়া চির বঞ্চিত কালো মানুষ
ডাক ছুঁড়ে দেয় ধুলো মাখা জীবন গুলোর দিকে -  
বলে এসো, নিজেদেরই বিবেকের দেয়ালে  
সাহসের হাতুড়ি মেরে প্রতিবাদী হই।
মেরুদণ্ডের মরচে ছাড়িয়ে এক সাথে জ্বলে উঠি।
হাতে পুষি জ্বলন্ত উল্কা পিণ্ডের মতো অঙ্গার।  
কণ্ঠে ভরি তপ্ত প্রস্তরের মতো কঠিন স্লোগান ।  
শপথের চোয়াল শক্ত করে কপালে বাঁধি
ঐক্যের লাল কাপড়।  
এক সাথে পাষণ্ড গুলোকে করে দিই স্বাভাবিক সামাজিক
জীবন আবর্তনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে।
                  আর
শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে আবারও প্রাণ সঞ্চার করি মানবতায়।  


                    ******