নগ্নতারই নীল অন্তর্বাস শুঁকে
উন্মত্ত গতিতে ছুটছে এক পাল সন্ত্রাসের ষাঁড় ।
কে আছে আজ তাদের আটকাবে?
কে আছে আজ তাদের ধরবে?
পায়ের খুর দিয়ে তারা ইচ্ছে মতন
মড়মড় করে ভাঙছে সুস্থ সমাজেরই
বুকের পাঁজরের হাড়।
শিং দিয়ে গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে মারছে মূল্যবোধকে।
চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে সহজ সরল জীবনের
সুস্থতা বোধকেও।

উদাসীনতার কালো চশমা পরে  
বিবেকের দরজায় খিল লাগিয়ে,
ভীরুতার জানালা দিয়ে  
নীরব দর্শক হয়ে তা আমরা সবাই দেখছি ।
কেউ বেরচ্ছি না  ভয়ে;
কেউ আসছি না তাদের দৌরাত্ম্য থামাতে ।  


তবে যে কজন প্রতিবাদের মশাল জালিয়ে
শপথের বর্শা হাতে তাদের তাড়াতে
তাদের মারতে ছুটছে;  
তাদের সাথে যুদ্ধ করছে!  
তারাও আজ তাদের শক্তিশালী গুঁতো খেয়ে পরাজিত,
তারাও আজ রক্তে ভিজে মাটিতে পতিত ।


কারণ-''এ লড়াই একা করা যায়!
একা জেতা যায় না কখনো।''
এ লড়াইয়ে চাই দলবদ্ধতার বদ্ধমূল  
চাই দৃঢ় একতা ঐক্য।


তাই এসো ভীরুতার খোলস ছেড়ে, মন থেকে
দ্বিধা-বোধের সব বালুকণা ঝেড়ে , আজ সবাই মিলে
এক সাথে হাতে হাত রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ি!  
ঝাঁপিয়ে পড়ি এ লড়াই-এর ক্ষেত্র ভূমিতে ।  
আর দল বেঁধে পার করে দিই সন্ত্রাসের ষাঁড় গুলোকে
এ জীবনেরই শেষ সীমান্ত।

ফুটিয়ে তুলি জীবন ভূমিতে আবারও
সুস্থতার সবুজ ঘাস;  আবারও
উড়িয়ে দিই চারিপাশে শান্তির প্রজাপতি ।  


        *********