শুধু চাই তোমরা দুজন আবার এক হও
যে ভাবে পাহাড়ি নদী এক হয় সমস্ত মরু অরণ্যের প্রতিবন্ধকতা
পেরিয়ে সাগরের সাথে, ঠিক সেই ভাবে। মেখে নাও আবার নতুন  
খুশির উচ্ছ্বাস এক রঙিন প্রীতির সুরে, চিনে নাও এক সোনা ঝরা
অর্চিষ্মান আলোকে পরস্পর পরস্পরের মুখ। বাঁধো নিজেদের দুটি  
মন কে  আবার এক দৃঢ় প্রত্যয়ের বাঁধনে, যে বাঁধন অক্ষয় হোক
সময়ের হাত ধরে নিরন্তর বয়ে চলা এ জীবনের পথে।


        শুধু চাই তোমরা দুজন আবার এক হও    
তোমাদের বিষণ্ণতার দূষণে ভরা হৃদয়ের মাটিতে এতো দিন ধরে
যত রাগ অভিমানের শিকড় ছড়িয়েছে,  চাই শুধু একটা  খুশিরই
প্লাবনে তা  সমূলে উপড়ে ভেসে গিয়ে গড়ে উঠুক হাজার হাজার
সুখ দিয়ে সাজানো রঙিন অনুভূতির বসতি।  যে বসতিতে থাকবে
সম্প্রীতি ঐক্য, বাজবে মিলনের গান প্রতিটি মুহূর্তে মুহূর্তে আবার
আগেরই মতন। আর তোমরা সেজে উঠবে নতুন অবয়বে।  


           শুধু চাই তোমরা দুজন আবার এক হও
জেনে বুঝে আর কত দিন তোমাদের  সম্পর্কের অসুস্থতা বুকে করে
বয়ে নিয়ে চলবে, ভারী করে রাখবে মনের দু ডানা। আজও কী যায়
না তোমাদের সমস্ত ভুল বোঝা বুঝির কালো দিন গুলোর সব খোসা
ঝেড়ে ফেলে পূর্ণিমা হয়ে বাড়িয়ে দিতে দুজন দুজনের দিকে জোছনা
ভরা সেই হাত? যে হাতের পেলব উষ্ণ স্পর্শতায় জেগে উঠতো শুধুই
সুখে দুখে পাশাপাশি থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ।    


           শুধু চাই তোমরা দুজন আবার এক হও
দূরত্বের পথ মাড়িয়ে আর কত দিন দূরে দূরে থাকবে নীরবতার চাদর
জড়িয়ে। ভোরের পাখির মতো আবার ডানা মেলো তোমরা নতুন এক
স্বপ্ন আশা নিয়ে বন্ধুত্বের সুনীল আকাশে,  যে আকাশে আছে শুধুই
ভালো থাকার ভালোবাসর সুস্থতা।  যে আকাশে মেঘে'দের শরীরে ফুটে  
ওঠে খুশির রামধনু, আর বিশ্বাসী হাওয়াদের অল্প ছোঁয়াতে মনেরই
পাপড়িতে পাপড়িতে লেখা হয় সুখের সাত কাহন প্রীতির আখরে।


                             ******


( এই লেখাটি আমার দুজন বন্ধু কে নিয়ে, যাদের ভেতর আজ বেশ দূরত্ব
তৈরি হয়েছে কিছু এলোমেলো মুহূর্তের জন্য,  যা আমাকে বেশ ভাবায়,
শুধু চাই ওরা দুজন যেন খুব শীঘ্রই আবার আগের মতন কাছাকাছি থাকে
হাসি খুশিতে থাকে, সব দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলে।)