ওরা পাঁচ বৃন্তচ্যুত শৈশব
মার্জিন টানা সড়কের পাশ দিয়ে দ্রুত হাঁটছে,
ঠিকরে পড়া রোদের কামড় মাথায় নিয়ে
একটা জঞ্জাল স্তূপ থেকে
আর একটা জঞ্জাল স্তূপের সন্ধানে ।
পিঠে চটের বস্তা গুলোতে অন্যের ফেলে দেওয়া
পরিত্যক্ত বাতিল জিনিস ভরা।
পা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা একটা আহত শীর্ণ কুকুরও ওদের
পিছু নিয়েছে আরও একটা দিন যাপনের আশায়।
স্বাভাবিক জীবনের বৃন্তে বেড়ে ওঠা শৈশব গুলো
যেখানে আদুরে হাওয়ায় শিক্ষায় দীক্ষায়
সচেতনতায় সতেজ হয়ে পাপড়ি মেলছে সজীবতার;
সেখানে এ বৃন্তচ্যুত শৈশব গুলো যেন
ধুলো মলিনতায় জল কাদায় গড়াগড়ি খেতে খেতে
অবহেলার ঝাপটা সয়ে সয়ে বেড়ে উঠছে বেদনার উপকুলে।
সারা দিন ধরে কুড়ানো জিনিস গুলো ওরা
ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে
কিছুটা বাঁচার রসদ জোগাড়ের তাগিদে ।
ওদের পাঁজর বেরানো শীর্ণ কালো শরীরের উপর
সময় যেন আজীবন টানে দারিদ্র্যতার আঁকিবুঁকি...
ওদের সেফটিপিন মারা ছেঁড়া জামার ফাঁক দিয়ে
ক্ষুধার চরম তৃষ্ণারা জেনো হাহাকার করে সারাক্ষণ...
বুকেতে অভাবের পাহাড়ের কোল ঘেঁসে
দু'চোখে বেয়ে আসা সরু সুতোর মতো ওদের কান্নার নদী
যেন জানান দেয় মরুভূমির মাঝে টিকে থাকার ইতিবৃত্ত ...
******