দেওয়াল ঘেঁষে উনুনের পাশে
দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটা খাড়া,
মাংস পোলাও নয়, খাবে বলে
পোড়া কাঁকড়া'র দুটো দাঁড়া।
ঝাঁটার কাঠি তাই দাঁড়ায় ফুঁড়ে
মা তার দিয়েছে উনুনে পুড়তে,
তাদের অভাব জীবনের সাথে
এই টুকু খাওয়ার সুখ জুড়তে।
খালের পাড় থেকে ধরে এনেছে
কাঁকড়া কটা ছোট্ট এ ছেলে'টা,
জীবন যুদ্ধের লড়াই খানা আজ
সেও শিখে ফেলেছে খানিক'টা।
ঋণের দায়ে বাপ'টা যে তার
গেছে দূরের শহরে করতে কাজ,
অভাবের তাড়নায় জীবন আঙিনায়
নেই জেনো তারও কোন স্বরাজ।
এমন সময় ঋণের মালিক বাবু
এলো তাদের ভাঙা কুঁড়ে ঘরে,
বলল তোর মরদ'টা কোথায় রে
তাড়াতাড়ি দে টাকা'টা বের করে।
আজ পারবো না মালিক বাবু
আর মাত্র দুটো দিন সময় দিন,
মিটিয়ে দেবো, ছেলেটার মা বলল-
সুদ সমেত আপনার বাকি ঋণ।
মরদ'টা নেই দেখে, নাছোড়বান্দা
কোন মতেই শোনে না তার কথা,
আজই সব টাকা দিতে হবে
বলল -'নইলে নেবে কিন্তু ব্যবস্থা।'
কাকুতি মিনতি শুনে না মালিক
শরীরে জাগায় উগ্র কামনার বান,
অশালীন ভাষায় নানা গালি দিয়ে
ইজ্জত লুট করতে এগিয়ে যান ।
পাশেই ছেলেটা ,দেখ ছিলো সব
মা কে বাঁচাতে সে এলো তেড়ে,
হাতে পোড়া কাঁকড়ার দাঁড়া দিয়ে
দিলো মালিকের চোখ অন্ধ করে।
পোড়া কাঁকড়ার দাঁড়া খেয়ে
বেড়ে ওঠা এমন ক্ষুদে বীর চাই,
যারা সবুজ হয়ে মা'কে মাটিকে
রক্ষা করবে নিজ শক্তির দ্বারাই।
********