এক কাপ চায়ে চুমুক দিতে দিতে সকালের খবরের
কাগজে মৃত লাশের ছবি গুলোকে দু চোখে
হজম করে, শেয়ার বাজারের পৃষ্ঠায় চোখ
বুলিয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য যখন তৈরি হচ্ছো তুমি।
আমি তখন হাওয়ায় ওড়া পলিথিনের মতন
গড়াতে গড়াতে এসে অপেক্ষা করি আস্তাকুড়ের পাশে
ভনভনে মাছিদের গান ভঙ্গ করে, কাক তাড়িয়ে,
দুর্গন্ধ ভাইরাস জীবাণু নিঃশ্বাসে গিলে; কখন
তোমার ঘরের আবর্জনা গুলো এসে
জমা হবে এই ঢিবিতে।
যদি জোটে দু-চারটে কাঁচের বোতল,
প্লাস্টিক, টিনের ডিবা, এই আশায়।
তাই কুড়িয়ে বিক্রি করে কিছু রোজগার;
পেটের গর্ত ভরানো ...
কখনো যদি তোমাদের বাতিল খাওয়ার
এই আস্তাকুড়ের ছেঁড়া কাগজের উপর শরীর ঢালে
এ চোখে তখন হাসে পূর্ণিমা চাঁদ।
তুমি যখন ব্যাংক ব্যলেন্সের অঙ্ক মাথায় কষতে কষতে
ঠান্ডা গাড়িতে করে বাড়ি ফিরে
রাতের ডিনার শেষ করছো,
প্রিয় জনদের সাথে হাসি ঠাট্টার হাসি ঠোঁটে নিয়ে
নরম জাজিম বিছানায় শরীর এলিয়ে দিচ্ছো...
আমি তখন অপেক্ষা করি
তোমার রুমের শেষ বাতি নেভবার...
আরো একটি রাত
বেওয়ারিশ কুকুরের মতন তোমার গাড়ি বারান্দার
ছাউনিতে কাটিয়ে দেবো বলে;
চোখের নোনা জলের স্বাদ চাঁদের জোছনাকে
চেনাতে চেনাতে ঘুমিয়ে যাবো বলে
নতুন ভোরের আশায়......
******