রাত্রির নাভিমূলে নীরবতার অরণ্য ছেঁটে আজও
কিছু পাষণ্ডের দল করাল লোলুপ দৃষ্টিতে জোরপূর্বক বসায়
ডিম্বাণু শুক্রাণুর মিলন উৎসব। শীৎকারে ঘুম ভাঙায় মৌন মাটির।
লুট করে আনে নিত্যদিন পাকা গম রঙের লাবণ্যময়ী সবুজ শরীর।
নেড়ে চেড়ে চুষে খায় নরম কোষের নির্যাস।
উন্মত্ত কামদেহী এ হিংস্র কুমীরের চোয়ালে আটকে পড়া
সবুজ দেহ গুলো ছটফট করে, পালানোর লড়াই করে শেষ শক্তি
দিয়ে জালের ফাঁসে আটকা পড়া মাছের মতন।
অবশেষে নিথর হয়, নিশ্চল হয় তারা,
মূল্যহীন হয় তাদের বাঁচার সব আর্তনাদ;
চোখে কান্না নদীর জল চকচক করে চাঁদের আধোআধো আলোয়,
পড়ে থাকে পাপড়ি ছেঁড়া ফুলের মতো ক্ষত বিক্ষত হয়ে দেহ গুলো।
ভোরের আলোর কুঁড়ি ডানা মেলার সাথে সাথে অশ্লীলতায়
মাতাল এই পাষণ্ড গুলোই সাময়িক ভাবে আবার ঝেড়ে ফেলে
যৌনতার খোসা, মুছে ফেলে মনুষ্যত্বহীনতার লালা,
ধুয়ে ফেলে লজ্জাহীন কলুষ চোখের পিঁচুটি।
বেরিয়ে পড়ে ছদ্মবেশে শুভ্র পোশাকে কর্তব্যের নামাবলি জড়িয়ে
সমাজ সেবার যজ্ঞে সচেতনতার মিথ্যে বাণীর সম্প্রদানে,
'যেন অমরত্বের পথে এদের বিড়াল তপস্বী জীবন ধারা।'
সবিষ সর্পের ছোবল খাওয়া সোনালী ব্যাঙ এর মতো
লাবণ্যময়ী সবুজ শরীর গুলোর যখন উন্মত্ত তাণ্ডব লীলার ভয়াল
ক্ষত নিয়ে কোন রকমের নড়ে উঠে, দেখে দিনের প্রথম আলো।
এদের উপর ঐ পাষণ্ড গুলোই লাগিয়ে দিয়ে যায়
চরিত্রহীনতার ইস্তাহার।
ছুঁড়ে ফেলে দেয় সমাজের অন্ধ গর্তে,
দেখিয়ে দেয় আত্মহননের পথ।
নিরন্তর বয়ে চলা সময় স্রোতের ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে তবুও বেঁচে
থাকে এ পাষণ্ডেরা। যাদের চোখে মুখে একটু ভালো করে তাকালেই
বোঝা যাবে লেগে আছে অবৈধ টাটকা যৌনতার গন্ধ, চশমা উপচে
পড়ছে লোল দৃষ্টি, লকলকে জিহ্বাতে পাক খাচ্ছে লিপ্সার আঠালো
তরল, মনেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে নিভৃত কামনার কাঁচা রোদ।
শুধু দামী সুগন্ধি দিয়ে তা ঢাকবার চেষ্টা মাত্র।
*****