দেখেছি এক আলো ঝরা বিকেলেতে
মার্জিন টানা ধুঁয়ো মাখা পথের ধারে,
এক ছোট্ট ছেলে মলিন বেশেতে
ছেঁড়া জুতো প্লাস্টিক নিচ্ছে ব্যাগে ভরে।


কুড়িয়েছে বিয়ারের খালি বোতল চারটে
আরো কিছু শুকনো গাছের ডাল পালা,
এই নিয়েই যাচ্ছে সে হেঁটে হেঁটে
জানি না এ কেমন শৈশব বেলা?


অনেক লাঞ্ছনা সহে তার জীবন
ঢেলার মতন পড়ে থাকে পথের পাশে,
সভ্যতার বাইরে যেন জীবনের আবর্তন
ঝড় বৃষ্টি এলে হয়তো বা যাবে মিশে।


চেনা জানা  বাসের হর্ন বাজে
ধোঁয়া উড়ে ছোট্ট এক কয়লার আঁচে,
একটা মেয়ে একা একা মকা ভাজে
তার সাথে ছেলেটার পরিচয় আছে।


কোন রকমে ছেলেটার যায় চলে
প্লাস্টিক  কাগজ  বোতল বেচে,
মেয়েটার বিকেল কাটে দোকান খুলে
সকালে পরের বাড়ির কাপড় কেচে।


কোথায় তাদের যে পিতা মাতা
কে বা জানে কোন দূর অচিন পুরে,
হয়তো বা বুজে গেছে তাদের জীবন খাতা
কান্না মাখা বিষাদের গানের সুরে সুরে।  


ছেলেটা কখনো যায় স্কুলের পাশে
ভাঙা পেন খালি রিফিল কুড়ায়,
অন্যরা তাকে দেখে হেঁয়ালীতে হাসে
অমনি সে সেখান থেকে ছুটে পালায়।


অন্য ছেলেরা যখন খেলে বল
সে দাঁড়িয়ে দেখে তাদের খেলা,
চোখের কোনে ঝরে তার নীরবে জল
জানি না এ কেমন শৈশব বেলা?


থাকে সে বাসের এক প্রতীক্ষালয়ে
নিকষ রাতের অন্ধকারে একা একা,
অনেক ব্যথা অনেক বেদনা নিয়ে হৃদয়ে  
তার যেন আগাছার মতো বেঁচে থাকা।


ফল বিক্রেতারা যখন ফেলে দেয়
পচা আপেল পচা কলা আম,
ছেলেটা ছুটে গিয়ে কুড়িয়ে নেয়
ভনভনে মাছিদের দেয় বিশ্রাম।


গোলাপী আলো নিভে যাবে
থেমে যাবে রঙিন ফুলের পাপড়ি মেলা,
নতুন প্রভাত নতুন আঙ্গিকে দেখা দেবে,
তবু রয়ে যাবে এ রকম কত শৈশব বেলা।


              ****