সময়ের রেলপাত ধরে ছুটে চলা
ব্যস্ততার ট্রেন বিকেলের জংশনে এসে দাঁড়ালে―  
পুকুরের উপর পড়ন্ত রোদের আলপনা ভেঙে
মৌন মিছিলের মতো লাইন করে
ঘরে ফিরে আসে হাঁসেরা ।  
ঘরে ফিরে আসে― ভাঁটা পড়া নদীর জলে
নৌকার দাঁড় ফুঁড়ে ফুঁড়ে
জীবনের গান সেলাই করতে করতে মাঝিরাও ।
হাওয়ারা মাঠের উপর
হাত ধরাধরি করে হাঁটতে হাঁটতে
বাজিয়ে যায় পাকা ধানশীষের নূপুর ।
মাছের ফুলকার মতো লাল রোদের আটি
মাথায় নিয়ে মেঘেরাও পা বাড়ায়
সন্ধ্যার চৌকাঠে । ভাঙা মন্দিরের ফোকরে
প্যাঁচারা প্রস্তুত হয় রাতের প্রহরী হতে ।  


ইঁদুর মাটির মতো ঝুরো ঝুরো
এ সমস্ত অনুভব, যখন বটের ঝুরি ধরে
দোল খাওয়া বালকের মতো
দোলা দেয় অন্তরে । তখন দেখি -
গ্রামের দুটি প্রান্ত থেকে ভেসে আসা  
শঙ্খ ও আজানের ধ্বনি ;
পরস্পর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে
যেন রচনা করছে আকাশের দেওয়ালে
একটা ভালোবাসার চাঁদ ।
আর সে চাঁদ থেকে ঝরে পড়ছে
লাল পিঁপড়ের ডিম রঙা সুখের জ্যোৎস্না ।