স্বাধীনতা
তুমি ছিলে মোর বাবার হাসি,আঁচল আমার মায়ের
আমার বোনের রাঙ্গা দুটি হাত,স্বপ্ন আমার ভায়ের।


তুমি ছিলে মোর গ্রাম্য চাষার গোলায় ভরা ধান
চাষানীর গায়ে ঘাম ঝরানো সুগন্ধি চালের ঘ্রাণ।


তুমি ছিলে মোর ক্লান্ত দুপুরে রাখালিয়া বাঁশির সুর
হারাতো সবাই সুরের মুর্ছনায় ক্লান্তি হত দুর।


তুমি ছিলে মোর ছায়া সু-নিবীড় গ্রামের মেঠো পথ
চলতো সবাই একই পথ ধরে ছিলোনা ভিন্ন মত।


তুমি ছিলে মোর ভোর বিহানে কালমা কুরআন পড়া
সবার চোখেই স্বপ্ন ছিলো উন্নত জীবন গড়া।


তুমি ছিলে মোর দীঘির জলে সাঁতার ঝাঁপাঝাঁপি
খেলার ছলে সবার গায়ে কাদার মাখামাখি।


তুমি ছিলে মোর গ্রাম্য বধুর ঘোমটায় ঢাকা মুখ
মায়ার বাঁধনে বাঁধা ছিলো সব ছিলোনা কোনো দুখ।


তুমি ছিলে মোর ভরা বরষায় মাছ ধরতে যাওয়া
শরীর খারাপ হইলে পরে মায়ের বকুনি খাওয়া।


তুমি ছিলে মোর ভাটিয়ালি গান লালন মারিফতি
একই প্রাণেতে মিলতো সবাই একে অপরের সাথী।


তুমি ছিলে মোর পাড়ার মাঠে সহপাঠীদের মেলা
হা-ডু-ডু-ডু,ফুটবল কিংবা গাংগুটি সব খেলা।


তুমি ছিলে মোর বাবার শাসন ভাইয়ের রাঙ্গা চোখ
মায়ের আঁচলে লুকিয়ে থাকা ভয়কাতুরে মুখ।


তুমি ছিলে মোর আজান হলে মসজিদেরই পানে
ছোট,বড় আর বৃদ্ধরা সব ছুটতো একই টানে।


তুমি ছিলে মোর সন্ধ্যা হলেই ঘরে ফেরার তাড়া
একটুখানি হইলে দেরি মা যে আত্বহারা।


তুমি ছিলে মোর স্কুলেতে পরীক্ষারই খাতায়
প্রথম হওয়ার চেষ্টায় রত খোকা খুকুর মাথায়।


তুমি ছিলে মোর বুকের স্বপ্ন-স্বপ্ন কুটি হাজার
স্বপ্নগুলো হারিয়ে গেলো আজ শুন্যতা হাহাকার।