কতদিন পর বিদেশ থাকি আইলো বেটা বাড়ি
মা'য় ছায় মুখের দিকে বউয়ে ছায় শাড়ি।


কত টেকা আনছো তুমি আমার আতো দেও
বাফে খইন টেকার খতা হুনে না যেন খেউ।


ভাইয়ে খয় আমার মোবাইল আনছোনি তুমি
সোনার ছড়া আতো নিয়া বইনে দেয় ছুমি।


হালায় আইয়া আতোর মোবাইল নেয় দুলাভাইর
হালিয়ে খয় কিতা আনছো দেও নইলে খাও মাইর।


বন্ধুয়ে খয় কিতাবেটা আনছত কত টেকা
নিতাম নায় তবুও এখটু আমরারে নায় দেখা।


আরিফরি হখলে আইয়া দান খয়রাত ছাইন
খুশি অইয়া বাড়ি ফিরইন যারা খয়রাত ফাইন।


ভাই বেরাদর কুটুমখেশও খেউ খেউ আইন
বেমার আজার অভাব আর দুঃখোর গীত গাইন।


জুমাবারে খুতবার আগে মসজিদো নাম উঠে
কিছু টেকা চান্দা নিয়া হুজুরোর মুখো হাসি ফোটে।


ইচ্ছামত বাজার খরইন ইচ্ছামত খাইন
বিদেশ থাকি আইছইন খরি ফুটানি দেখাইন।


অতা খরিয়া দুই তিন মাস কাটিয়া যায় বাড়ি
হেসোর দিকে টেকার অভাবে বেছইন আতোর ঘড়ি।


শব্দার্থ ঃ
আইলো- আসলো, বেটা- একজন পুরুষ, ছায়-চাওয়া, টেকা- টাকা, আনছো- এনেছো, আতো- হাতে,  বাফ- বাবা, খইন- বলেন, হুনেনা- শুনেনা, খেঊ- কেঊ, খয়- বলে, আনছোনি-এনেছো কি, সোনার ছড়া- স্বর্ণের চেইন, ছুমি- চুমি, হালা- শালা, আইয়া- এসে, হালি- শালি,কিতা- কি,  আরিফরি- পাড়াপ্রতিবেশী, হখল- সকল,  ছাইন- চাওয়া, অইয়া- হয়ে, ফিরইন- ফিরে যাওয়া, ফাইন- পাওয়া, খেউ- কেউ, বেমার আজার- অসুখ বিসুখ, গাইন- গাওয়া, খরইন- করেন, খাইন- খেয়ে থাকেন, আইছইন খরি- এসেছেন বলে, ফুটানি- অহংকার, অতা খরিয়া- এভাবে করে, হেসোর দিকে- শেষের দিকে, বেছইন- বিক্রি করেন।