আজ পানশালাটা ফাঁকা তোমার বুকের মতন
বুকের দীর্ঘশ্বাসের মতন।
-গমগমে ভাবটা আর নেই
যেন বা মাতাল সব শুয়ে আছে হয়ে বিষণ্ণ অন্ধকার।


আজ খুব তোমার কথা, তোমার স্তনমাঝের
জড়ুলের কথা মনে পড়ছিলো
জানোই ত, খুব একটা মনে আসোনা তুমি
যদিওবা আসো ভীষণ ঝড়ে মাতো-
যেন ক্রুব্ধ বাঘ- নিরন্ন বহুদিন, স্বাদ বদলিয়ে খাবে শ্বেতসার।
হ্যাঁ, তোমার কাছে তো আমি উদ্ভিজ্জ আমিষই ছিলাম
অথচ দুজনারই বড় বেশি প্রিয় ছিলো মাংসের বাজার।
দুজনারই ছিলো পরিচিত মাংসের অর্থনীতি, গণিত আর ব্যাকরণ
শুধু মাংসের সাথে এলকোহলে ভীষণ অরুচি হত তোমার
ঐ একটা বিষয়েই তুমি দিয়েছো ভেটো বারবার, বরাবর
অভিসম্পাত দিতে লক্ষবার চালাতে চাকু অদৃশ্য-ক্ষুরধার।


বিশ্বাস করো হে সুদূরতমা ক্ষণিকের ফল্গুধারা আমার
পানশালাটার প্রতিটি চেয়ার, ধূলিকণা, স্ন্যাক্স, পানীয়
মিনারেল ওয়াটার, টিমটিমে আঁধারিমা, বরফ- খন্ড
উচ্চস্বরে বাজতে থাকা হিন্দি গান সাথে নর্তকির
খুললাম খুল্লা ভাব-
তাদের সবার দিব্যি তোমার প্রতিই ছিলো পলে পলে সজ্জিত
ফোঁটাফোঁটা জীবন কণিকা তথা সুরার নৈঃশব্দ্যমণ্ডিত-
গান, তোমার দিকেই ছুটে যেতো ধোঁয়া- স্তব্ধ নীল এবং সাক্ষ্য
দিতো- সিগারেটের কিছু পোড় খাওয়া অপাংক্তেয় ফিল্টার।


অথচ আজ পানশালাটা ফাঁকা বড় বেশি ব্যথাতুর একা
তবে সেও কি জানে পাগল দিনের মাতাল হবার কথা?