ধৈর্য্যের সীমানা পেরিয়ে অধৈর্যের সীমা দ্বারে,
কতটুকু পুরুত্ব ভেদ করে অধৈর্য ক্রিয়া করে?
জানিনা কতটুকু ধৈর্য্য লাগে সমাজের চামড়া ভেদে।
পঙ্কিলতার অতল গহ্বরে কতদুর খনন করলে
পুঁতে দেয়া মানবিকতার দেখা পাওয়া যাবে?
সাগরের অতল তলে কত নীচে গেলে, ডুবুরী দলে
হারিয়ে যাওয়া বিচার ব্যবস্থা খুঁজে পাবে?


মানুষ নামের জানোয়ারগুলি মেতেছে আদিম উন্মত্ততায়
পথে ঘাটে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, নিজ গৃহে এমনকি যানবাহনে
মনুষ্য প্রজাতির অর্ধেক নারী আজ কোথাও নিরাপদ নয়।
সভ্যতার চাদরে মুড়ে দুর্বৃত্ত মত্ত আজ চরম অসভ্যতায়।
বিজ্ঞানের উৎকর্ষদিনে ওরা মধ্যযুগ ফিরিয়ে আনতে চায়।
মানবতার ফেরিওয়ালা আজ, অমানবিকতার ভয়ে
রুদ্ধ দুয়ারে মিথ্যা অজুহাতে ধৈর্য্যের তাসবিহ গোনে।
ধৈর্য্যের বাঁধ কী দিয়ে বাঁধানো তোমার?
প্রশ্ন রাখে ছয় বছরের শিশুর ক্ষত বিক্ষত যোনীদ্বার।
কত দিগন্ত বিস্তৃত লজ্জাহীনতা তোমার?


নিষ্পাপ শিশুর নিথর দেহ, বিষ্ফারিত দুটি চোখে
পাহাড় সমান জিজ্ঞাসা, সভ্যতা কাকে বলে?
ছোট্ট শিশুর অন্তিম প্রশ্নের জবাবে
তথাকথিত সভ্যতা তোমার পেলা খুঁটি ভেঙ্গে
ঝাঁপ দাও নর্দমার জলে।
মিথ্যা আশ্বাস আর মঞ্চ কাঁপানো বক্তৃতা,
শতশত বাহিনী আর তথাকথিত সভ্য জনতা
পারেনি কেউ দিতে একটি শিশুর জন্ম অধিকার।
আর কত দিন এভাবে চলে?
শত শত তনু, ইয়াসমিন বেহেশতে যায়নি এখনো
বিধাতার সাথে অভিমানে,
পৃথিবীতে আজো ঘোরে, অপেক্ষা করে কখন তোমাকে পাঠাবে জহান্নামে।
সমাজের কীট এরা খুব বেশী ক্ষমতাধর নয়,
সমাজের বিশৃঙ্খলার আড়ালে লুকিয়ে সমাজকে
করে ক্ষয়।
সামাজিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত জনতা ঐক্যবদ্ধ হলে
বিষফোঁড়াগুলির আপনা আপনি মূলোৎপাটন হবে।


২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
মিরপুর, কুষ্টিয়া