ত্যাগ কথাটি ছোট্ট অতি বাংলা অভিধানে
কিন্তু ত্যাগের মহিমা কী কয়জনায় তা জানে?
ত্যাগ করা অতি কষ্ট, ত্যাগে সুখ নাই
এত বড় মিথ্যা কথা কে বলেছে ভাই ?
ত্যাগেই ধর্ম, ত্যাজিয়া সুখ পাই,
বলেছেন সাধু জনে, কথা মিথ্যা নয়।
স্বার্থ ত্যাগ বড় গুণ, যে করিতে পারে
মহিয়ান হয়ে রয় জগতের মাঝে।
আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে, ধর্মের টানে
শীতের সকালে উঠে যে জন
ছুটে যায় মসজিদের পানে।
কী সুখ নামাজে সেই শুধু জানে।
সুদ ঘুষ ত্যাগ করে যে আমলায়
বেতন দিয়ে আপন সংসার চালায়,
হালাল রুজির বরকত জানে সেজনায়।
অহমিকা ত্যাগ করে যে সাধু জনায়
অকপটে নিজের ভুল স্বীকার করে নেয়,
ভুল স্বীকারের অনন্য সুখ সেই শুধু পায়।
স্বার্থ ত্যাগিয়া দুনিয়ায় কে বা
চুপে চুপে করে যায় অপরের সেবা?
অপরের সেবায় আছে সুখ অনাবিল
খুঁজে দেখো পাবে তুমি সাফ হবে দিল।


ত্যাগ করেছে মহীয়ান, ত্যাগ করেছে হীন,
আত্মত্যাগী স্মরণীয় হয়ে থাকে চিরদিন।
ধর্মত্যাগী মানুষ মুরতাদ হয়ে যায়
শান্তির ধর্ম ইসলামে তার কোন জায়গা নাই।
ধর্মযুদ্ধে আত্মত্যাগী শহীদ হয়েছে যারা
মেহমান আল্লাহর, জাগ্রত রয়েছেন তারা।
ত্যাগের মহিমা আরো কত কী যে,
বলিয়া শেষ নাই,
মল ত্যাগ, মুত্র ত্যাগ প্রশান্তি এনে দেয়।
জলহস্তীর বায়ু ত্যাগ রাখঢাক নাই।
গৃহ ত্যাগ করে কেউ চলে যায় বনে,
সন্নাসী হয়ে কেউ দেশে দেশে ঘুরে।
সকলেরই দেহ ত্যাগ করতে হবে ভাই
ব্যস্ত এ দুনিয়ায় স্মরণ কারো নাই।
দেহ ত্যাগ করার আগে ভেবে নিও তাই,
ধন সম্পদ আত্মীয় স্বজন ত্যাজিবে তোমায়।
ধর্মের ত্বরে যে ত্যাগ তুমি করে যাবে ভাই,
মরনের পরে শুধু ফিরে পাবে তাই।