আমি বিষ্ময়াবিষ্ট হয়ে করি সন্ধান
কিভাবে হলো আমার দেহের ভিতরে ভিতরে
এত প্রোকৌশল শৈলী বিদ্যমান?
যা কোনদিন ভাবতে পারেনি কোন বিজ্ঞান।
আমি চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে কোন উত্তর খুঁজে না পাই
কোন প্রোকৌশল বলে, কোন প্রক্রীয়ায়
বাতাস আমার শরীরে জ্বালানি যোগায়,
কার ইশারায়
আমার শরীরে এত সুক্ষ্ম নদী নালা বয়ে যায়
কে তাতে রক্ত শ্রোত বহায়,
কে বা তাতে করে  সৃষ্টি অন্তরায়?
আপনার মাথা আপনি নুয়ে যায়।


আমি ভাবাবিষ্ট হয়ে পাইনা কিনারা
আমার দু'চোখে কে বসিয়েছে শত পিক্সেল ক্যামেরা?
সুবহানাল্লাহ আমার মুখে আপনা থেকেই এসে যায়।
কে বসিয়েছে আমার কানে এত সুক্ষ্ম রিসিভার?
কে দিল আমার মুখে শক্তিশালী স্পিকার?
সেই মহিমায় মোহাবিষ্ট আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই,
তাঁর উদ্দেশ্যেই মাথা নুয়াই।


আমি বিষ্ময়াভিভূত চিতে চেয়ে থাকি আকাশের দিকে
এত শুন্যতা কীভাবে হলো, কে তারে সৃজিল,
কোথায় পেল এত বর্ষনের জল?
সুর্যের এত প্রখর আলো কীভাবে হলো,
চন্দ্রের এত স্নিগ্ধ আলো কোথায় পেলো,
আমি যে দিকে তাকাই, দৃষ্টি আমার যত দুরে যায়
ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে ফিরে এসে আমার চোখের কোনে
ঝরে পড়ে অঝোর ধারায়।
মাথা আমার আপনি নুয়ে যায়।


আমি বিমুগ্ধ চিতে চেয়ে থাকি তটিনি বয়ে‌ যায়,
মৃদু মন্দ বাতাসে ঝিরি ঝিরি ঢেউ তুলে হৃদয় নাচায়,
আহা! আহা! কী মধু মায়া মন প্রাণ আপনি গলিয়া যায়
কে সৃজিল তারে এত মায়া দিয়ে কোন মহিমায়
উত্তর থেকে দক্ষিণে যেতে কে তারে ইশারা দেয়?
আপনার মাথা আপনি নুয়ে যায়।


মহাবিষ্ময়ে চেয়ে দেখি হৃদয়ে আমার তাঁহার আসন পাতা
খুঁজে পাইনি অদ্যাবধি আমার শরীরে আমার আসন খানা।


১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
মিরপুর, কুষ্টিয়া