যখন যৌবন এসেছে তোমার খেলেছ লুকোচুরি,
সাধ মিটেছে বিনারসে যেন আকাশচুম্বি ঘুড়ি।
দেখেনি কেউ, তাই করেছ গৌরব
সমাজকে দিয়েছ ফাঁকি, দিয়ে দেহরূপ
তিমির রাতের জোৎসনার মত ছিলে দীপ্তিময়!
পিতামহের ঝংকারে সবাই পেত ভয়?
বলতনা কউ সাহস করে!
যাইতে তুমি অন্ধকারে,
আসতে আবার গনভয়ে,
বাড়ি ফিরতে নিরব হয়ে!


সেদিন তোমার কোথায় গেল?
পুর্ন  খাচা শূন্য হলো;
এখন কেউ আসেনা পাশে।
ঘুরছ তুমি হন্য হয়ে,
সাধু হলে নিরুপায়ে,
পাগল তোমায় বলছে এখন, চলছ এলোকেশে।
বলছ তুমি সাধু কথা,
আসল যখন নিরবতা!
এখন কোথায় তোমার ঠাই?
চোঁখ ঘুছিলে আধার হবে, আলো সেথায় নাই।


সুন্দর হলেই সুন্দরী নয়?
সুন্দর হলো মানব হৃদয়!
অন্তরে যার নাই অহংকার,
বেঁধেছে সে স্বামীর সংসার।
পতি যাহার আছে ঘরে!
পা রাখে না ঘরের বাহিরে।
আগে যদি মরে পতি,
তুমি থাক সদায় স্বতি।
স্বতিত্বের যা মূল্য পাবে,
পরজনম বসে খাবে।
ফুরাবেনা অমূল্য ধন,
টাকা পয়সায় হয়না ওজন!


তুমি যখন চলবে একা,
পথে পাবে কারো দেখা।
সেই দেখাতে দিওনা মন,
ধরে রাখ রূপ ও যৌবন।
ফুটলে  তোমার ফুলের কলি,
জড়াইওনা কলংকের কালি?
এই কালি জরালে অংগে,
নিশ্চিত তুমি পরবে ভেংগে!
এই ভাংগা লাগেনা জোড়া,
হৃদয় হবে পোড়া পোড়া!
জ্বলবে তুমি জনম ভরে,
থাকো যতই স্বপ্ন পুরে?