বাঁধ কেন দাও বাতাসের গতিপথে?
অফুরান সুগন্ধেরা অপেক্ষায় আছে,
দুঃসহ মনে হলে জানালা বন্ধ রেখো
ব্যস্ত থেকো যে যার নিজস্ব বদ্ধালয়ে,
এখন কোজাগরী-টান স্রোতস্বিনী-জলে,
ন্যায় যুদ্ধ বলে কিছু নেই পৃথিবীতে,
যতই হাত ধরে টানো,আমি অরণ্য খুঁজে যাবো।


আমি অরণ্য খুঁজি,অরণ্য খোঁজে আলো-বাতাস,
অথচ অরণ্য সরে যায় দূর থেকে দূরে,
সেদিনও দেখেছি তার সবুজ মায়া-চোখ,
ছায়া-শীতল কোলে নিষ্কলু্ষ ভাল লাগা,
আজ এখানে বাতাসের পথে বা্ঁধ,অরণ্যের ফুসফুস
বিপন্ন কাঞ্চনজঙ্ঘার অভিযাত্রীর মতো,
অজস্র দীর্ঘশ্বাসে নিকষ কালো আজ মুক্ত আকাশ,
অথচ কে না জানে অরণ্যের তৃষ্ণা মেটে আলোয়!


ওদিকে উন্মাদের সারা গায়ে শ্মশানের ছাইভস্ম মাখা,
দু চোখের পর্দাতেও কাঙালের ঝুলিতে থাকা ছাইয়ের প্রলেপ,
স্থান-কাল-পাত্র তুচ্ছ তার কাছে, অবাধে ঢুকে যায়
অরণ্যের সবুজে, তছনছ করে ফুল-পাতা-ডাল-পালা,
আর কত সইবে বলো অসহায় অরণ্য?


তবু নিকষ কালো মেঘও কেটে যায় একদিন,
বাতাসের প্রবল ধাক্কায় ভেঙে যায় বাঁধও,
উন্মত্ততাও দূর হতে পারে সুহৃদয় চিকিৎসকের সংস্পর্শে


ফিরে এসো অরণ্য, অপেক্ষায় আছি ...