কাফেলা মোদের হয়েছে ঘায়েল, খেয়ে রজনীতে অবিরাম আঘাত,
কতবার আমরা ঘুমিয়ে জেগেছি, আবার কতনা রজনী হয়নি প্রভাত।
আহ! এখন আমরা আসমানি দরবারে হাজির হবো কোন মুখ নিয়ে,
পূর্বে মোদের গিয়েছে যারা, তারা সকলে অপেক্ষায় রয়েছেন চেয়ে ।
আমরা তো আমাদের জীবন-সম্বল হারিয়ে হয়েছি অসহায়,
অনুষ্ঠিতব্য আসমানি দরবারে কি জবাব দিব? আমরা হায়!    
কাফেলা পতির  আদ্যোপ্রান্ত কাহিনী শুনে, বললেন মুসাফির,
মাথা তুলে, হৃদয়গ্রাহী ভঙ্গিতে বললেন, শোন কাফেলা বীর,
তোমার জীবনগল্প দুঃখ-কষ্টের সন্দেহ নেই তাতে,  
তোমাদের কাফেলা এখন রয়েছে যে উপত্যকাতে।  
এ সম্পর্কে এক নিগূঢ় রহস্য আমার বক্ষেও জমা আছে,
শোন তাহা, যাহা প্রসঙ্গক্রমে মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে।
বহু আগে, নিজ গোত্রের ১ পর্যটকের উপত্যকা পারে  
হঠাৎ দামান জড়িয়ে গেল তার, এক সূচালো পাথরে।
যখন সে ঝুঁকে গিয়ে ব্যস্ত ছিল, নিজ দামান মুক্ত করতে,
হঠাৎ মসৃণ চতুস্কোণা এক পাথর এসে পড়ল তার হাতে।
পাথরটি সে তুলে নিয়ে, আলোতে এসে দেখতে পায়,  
ওটি লোহিত পদ্মরাগমণির ফলক, সবুজ রঙের লেখা গায়।
কুফর ও গোমরাহির অন্ধ ঊপত্যকা, এটি  আঁধারের রাজধানী,
সূর্যের এখানে প্রবেশ নিষেধ, কেউ আজো বিহান দেখেনি।  



চলবে......
আগামীকাল_পর্ব -০৮