অদ্বিতীয় প্রভু, আপন মর্যাদা-মাহাত্ম্যের চাঁদরাভ্যন্তর,
বের করে আনলেন তিনি, একটি হীরা চির সুন্দর।
হীরার সৌন্দর্যের চমকের কথা কি বলবো যে আর,
সাধ্য কারো ছিলনা যে, তাকে চোখ তুলে দেখার।
বেশ দৃষ্টিতে তীব্র এক কিরণ পড়ল সবার চোখে,
আঁধারেতে পড়ল সবাই চোখে নাহি কিছু দেখে।


আল্লাহতা’আলা বললেন সকল উপস্থিতিকে করে সম্বোধন,
দেখ! এটি আমার আমানত, কূদরত-খনির অতি মূল্যবান।
এগিয়ে আস, কে পারবে, এটার সংরক্ষণ-দায়িত্ব পালন,
তাহার কাছে এই অতি মূল্যবান হীরা আমি করিব অর্পণ।
তবে,শর্তযোগে যে, এক দীর্ঘ মেয়াদ শেষে একটি বসাব দরবার,
ওই দিন এ আমানত সম্পূর্ণ এ অবস্থায় ফেরৎ দিতে হবে আবার।
এ-ও শুনে নাও যে, এটি আদায়ে যদি বিন্দু মাত্র ত্রুটি হয় তোমার,
অঙ্গীকারের বিনিময় আছে যেমন, তেমনি দন্ডও রয়েছে অবাধ্যতার।
আসমানের চওড়া-সমান বক্ষ তুলে নেবে এ আমানতের ভার,  
সাধারণ ভাবে এমনই ধারণা ছিল মনেতে সবার।
আমানত অর্পণের কথা শুনে, আশ্চর্যের সীমা ছাড়িয়ে আসমান,
চওড়া-সমান বক্ষ নিয়েও আমানত ভারে, ভয়ে কম্পমান।
আসমানের অস্বীকৃতির পর শাহী সম্বোধন পেল পর্বত চূর্ণ,
এ আমানত কি রেখে দেব তোমাদের বক্ষ করে বিদীর্ণ ?
এ কথা শুনে পাহাড়ের অহংকারী ললাটে ঘর্ম এসে গেল,
সংকোচিত হয়ে মহান প্রভুর দরবারে আবেদন জানাল।
আমাদের চূড়াকে উচ্চতার মুকুট দানকারী মালিক আমার!
বক্ষ ফাটবে, কোমর টুটবে,দাও যদি এ আমানতের মহিমাভার।


চলবে......
আগামীকাল_পর্ব -০৪