আবেগ-আকর্ষণের এ অনিচ্ছাকৃত অপরাধ ক্ষমা করবেন মোরে,
অনেক জ্বালাতন করেছি আপনাকে আমি অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে।
আপত্তি না থাকলে আপনার, না হয় আর একটু কষ্ট দিলাম,
যাবার কালে আপনার কাছে ক্ষমা চাই, বলবেন কি আপনার নাম!
হয়ত আপনাকে পাবনা, তবে আপনার নাম স্মরণে অন্তর আমার  
প্রশান্তি করতে থাকব, কাফেলাপতি কথাগুলি বলল নিয়ে শিষ্টাচার।
বড়ই আশ্চর্য! জমিন-আসমানের এপিঠ ওপিঠ থেকে গোড়াপত্তন,
যার নাম, জন্নাত ও আর্শের দরজার অস্তিত্ব দপ্তরে রয়েছে অঙ্কন।  
এর পরেও কি তোমাকে, আমার নাম বলার আছে প্রয়োজনীয়তা,
ধরে নাও, যিনি আপন প্রকৃতিতে নিষ্পাপ, কলঙ্ক মুক্ত এক সত্ত্বা,
যার স্বভাব-প্রকৃতি, চমৎকারিত্ব, মান-মর্যাদা অতি উচ্চ ও সুমহান,  
যিনি আপন চেহেরা, সৌন্দর্য ও পূর্ণতায় জমিন থেকে আসমান,  
জমিন থেকে আরশ পর্যন্ত সকল সৃষ্টি প্রশংসা কীর্তন করে যার,
এমন সত্ত্বাকে তুমি কি নামে ডাকবে? মৃদু হাস্যে বলে মুসাফির।
কাফেলাপতি বল্ল, তাঁর নাম মুহাম্মদ (সঃ) ছাড়া কি হতে পারে আর!
(হতচকিত হয়ে) তবে কি আপনিই মুহাম্মদ(সঃ)? হায় সৌভাগ্য আমার!
আপনি অভ্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র, যার সংবাদ ঈসা (আঃ) দিয়েছিল,  
আত্মহারা হয়ে, মত্ততায় ডুবে কাফেলাপতি যখন কথাগুল বলছিল,
গাছপালা, পর্বতমালা ঝুঁকে গেল সবখান হতে এ ধ্বনি  আসতে লাগল।
সবাই হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে প্রেম ও ভক্তির এ সভায় শামিল হয়ে গেল,
ফজরের আযানের শব্দ কানে এল, কাফেলাপতির নিদ্রা টুটে গেল।
আযানের পূর্বে নভ-জমিনের সকল কিছু একযোগে গাইতে লাগল  
আসসালাতু ওয়াস্ সালামুআলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ,  
আসসালাতু ওয়াস্ সালামুআলাইকা ইয়া নবীয়্যাল্লাহ,
আসসালাতু ওয়াস্ সালামুআলাইকা ইয়া শাফিয়াল মুজলিমিন,
আসসালাতু ওয়াস্ সালামুআলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন।


আরশাদুল ক্বাদেরী (রহ.)’র জীবনী অবলম্বনে


বন্ধুরা, অনেক বন্ধুদের অনুরোধে, আগামী কাল মুসাফির কবিতাটির সকল পর্ব একসাথে পোস্ট করব। সকলে ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ