এবার জমিনের পালা, এল দরবার হতে সুলতানী ফরমান,
আমার খনির এ হীরা তুমিই রাখবে অন্তরে আপন।  
জমিন তার ধূলিধূসর চেহরা শাহী অট্টালিকার দরজা রেখে দিল,
মহাপ্রভাবশীল বাদশাহর নিকট, কাঁপতে-কাঁপতে বলল,
ছোট-বড় সৃষ্টির পদে দলিত-মথিত, আমার কোথায় এত হিম্মত,
আমি কি বহন করতে পারি প্রভু, আপনার এ মহান আমানত!
ওই ভরপুর দরবারে সকলের চেহেরায় যখন বিবর্ণতা,
ইনসান দাঁড়িয়ে তখন করছিল যে চিন্তা।
এ যুক্তিতর্কের সাথে কি সম্পর্ক যে, এক সরল বান্দার,
তার মাঝে কি আছে-কি নেই? আমানতের আদায়ে প্রাপ্যতার।
আল্লাহর ইচ্ছা এ আমানত যদি কাউকে সোপর্দ করতে চায়,
তবে এদিক-সেদিক কেন করা হচ্ছে গ্রহণে তাহায়,
যিনি আমানত দিচ্ছেন, তিনি যোগ্যতাও দিবেন তায়,
ধরি, যদি বন্ধুর কারণে আমাদের সকল ধ্বংসও হয়ে যায়।  
তাতে কি ক্ষতি, এ চিন্তা করে মানুষ আগ বাড়িল,
আগ-পিছ, এবং পরিণতি না ভেবেই হীরা তুলে নিল।


দরবারের সকলেই আশ্চর্য হয়ে মানুষের দিকে তাকিয়ে রইল,
তাদের নগ্ন দুঃসাহসে বড়-বড়দের হিয়া কেঁপে ওঠিল।
বিশ্বের পতি, স্বয়ং স্রষ্টা, শঙ্কাহীন মানুষের সাহস দেখে যিনি,
“জালেম এবং পরিণতির খবরহীন মানুষই” বললেন তিনি।


চলবে......
আগামীকাল_পর্ব -০৫