শহরের শেষ প্রান্তে যে চায়ের দোকান ছিলো
সেখানে গেলে আমাকে আজও খুঁজে পাবে
মনের অভাবে বাকির খাতায় নাম লিখিয়েছিলাম, তাও তো কাপ থেকে চা ঘাসে ছুড়ে মারি –
পাশে তুমি না বসে থাকায় রঙ চাও পানসে লাগে
চায়ে যে বিস্কুট নেইনা আর, এতে ক্ষতি কিন্তু চা-ওয়ালার
অথবা ঐ নিদারুণ অন্ধকারমাখা পথ?
যে পথে তোমাকে গর্ব করে চাঁদ দেখাতে পারিনি – যেই পথের দৈর্ঘ্য নিয়ে আমার বিশেষ আপত্তি ছিলো?
অথবা যখন তুমি বুঝতে পারতে কোনো এক বিশেষ কবিতা তোমাকে নিয়েই লেখা?
বিশেষ শব্দের প্রতি আমার যে আক্রোশ, সেটা অব্দি তোমার কাছে লুকোতে পারলাম না
সেই রাত আলোময় হয়ে গেছে, দিনক্ষণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে
আজও আমরা এক বৃহৎ স্বার্থ পালনে ব্যস্ত
শহরের শেষ প্রান্তের ঐ চায়ের দোকানের মতো –
মুখোমুখি, ইচ্ছাকৃত চোখাচোখি
তবুও চাইছি যেন, তোমাকে বোঝাতে যে বিশেষ কেউ নও
শুধু কৌতুহলে তাকাই, শুধু নিছক কৌতুহল
তুমি এসেছিলে কাছে? তুমি এসেছিলে কাছে? ডাক দেবার পালা ছিলো বোধহয় আমার
হাতের নাগালে থেকেও দূরে-এ কথা আর কতভাবে লিখবো?
আজ মন বিক্ষিপ্ত, সেদিন রাতের মতো
ওইযে কাছাকাছি এসেছিলে নীল রঙের বেশে
গোটা সময়টাই মন শুধু তোমাতেই রয়ে গেছে
মন আটক, তুমি দূরে , দূর্ভাগ্যবশত দুঃখের নাটক
বুক যে কেঁপেছে তাতে কী প্রমাণ হয়?
তোমার হৃদয়ে তো এক পাষাণীর হৃদয়
কয়েক হাজার রেডিয়াস মাইলের মধ্যে আমায় ভাবো না জানি
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রেরণা হওয়ার জন্য তাও অবিশেষ ঋণী