ষোল কোটিতে আমিও একজন
চলমান প্রেক্ষীতে ভাবি সারাক্ষণ
দিন ও রাতের অনন্ত আবর্তনে
সকালে সোনালী সূর্য্যের স্পন্দনে
অন্ধকারের অবসান-
বয়ে আনবে হয়ত অজস্র কল্যাণ।
সকাল দুপুর শেষে সন্ধ্যার আগমনে
অলসতার সাথে সাথে ভয় জাগে মনে
শিয়রের কাছে ওই খোলা বাতায়নে
কি জানি কি দেখি,তন্দ্রাতুর নয়নে।


খবর যত প্রতিদিন শুনি এই কানে
ছোট্ট এই দেশটির ভিন্ন ভিন্ন স্থানে
কোথা কার ইশারায় কার আহ্বানে
ঘরে-বাইরে পথে-ঘাটে আর ময়দানে
ঘটে যত সব অস্বাভাবিক ঘটনা
উদ্ঘাটনে চলে তাতে নানান রটনা
কাদা ছুড়াচুড়ি চলে তাও অসামান্যা
তার সাথে স্বজনদের আহাজারি-কান্না।


সাদা চামড়ার ভিন্ন ভাষী বিদেশী দুই জনে
বাস করত একা তারা ভিন্ন ভবনে
ভিন্ন ভিন্ন সংস্থান করতো নিজ নিজ অন্ন
তাদের জীবনও শেষে হ’ল বিপন্ন।
ষোল কোটির বাইরে হ’লেও ওই দুটি প্রাণ
চলা ফেরায় পেতে পারতো নিরাপত্তা বিধান।
শিশু কিশোর সহ যত তরুন ও নবীন
পীর মাশায়েখ ব্লগার সবাইতো অস্ত্রহীন
তবুও ওদের বিরুদ্ধে সংহার রণে
নেমেছে ওরা কি সে কারণে!
হয়তবা প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধনে
ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিতে সাবধানে
একই কৌশলে ওরা রাতে ও দিনে
আধুনিক সয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র বিনে
পাকায়ে নিয়ে ওরা হাত দুই খানা
অস্ত্রধারীদের উপর এখন দিতেছে হানা।


এমন অকাল মৃত্যূ কি কভূ নেয়া যায় মেনে!
বিচার হ’ল কি হ’লনা-হবে কী তা জেনে!


০৬-১১-২০১৫ইং