সেদিন শুক্রবার দুপুরে
অস্থিচর্মসার একটা কুকুরে
প্রতি দিনের মত সারা গ্রাম ঘুরে
আজ ঢুকে পড়েছে এক পুরে।
সারাদিন হয়ত কিছুই পড়েনি উদরে
লেজ পেড়ে বসে পড়ে বারান্দার উপরে।
সাথে চারটি বাচ্চা খুধায় কুঁই কুঁই স্বরে
এক সঙ্গে ঢুকে পড়ে ঘরের ভিতরে।
তখন গৃহকর্তা উল্টো দিকে মুখ ক’রে
খাদ্য চালান দিচ্ছিলেন আপন উদরে।
মা কুকুরের সাবধানী সুরে
গৃহকর্তা দেখেন পিছনে ঘুরে
কত দিনের অর্ধাহারে
কয় সন্ধার অনাহারে
এমন দশা হতে পারে?
ভাবতে ভাবতে থালার অবশিষ্ট খাবার
কর্তা মুখে তুলতে পারেনা আর।
থালার ওই টুকু খাবারে
পেট ভরাবে কারে?
শুধুই বাচ্চাদের-
কারোই পেট ভরবেনা ওদের-
যদি মায়ের সামনে ধরে
বাচ্চারা কি রবে চুপ ক’রে?
অবশেষে কর্তার মগজে ঘুরে
সমাধান তো নয় বেশী দুরে-
যদি মায়ের পেটটি ভরে
শক্তি সহ দুধ আসবে ধড়ে।
কৌশলে বাচ্চাগুলোকে বন্দী করে ঘরে
খাবার টুকু ঢেলে দিলেন মায়ের মুখের ‘পরে।
মা কি একা একা তা খেতে পারে
বাচ্চাদের ডেকে সে হাঁক ছাড়ে।
চুপ কর বলে,কর্তা বুঝালেন তারে
অন্যেরাও তো এসে যেতে পারে-
তাড়াতাড়ি করে নে সাবাড়
পরের সন্ধ্যায় আসিস আবার-
চেষ্টা করিস কিন্তু মনে রাখবার
ভাতের সাথে রাখব ছোট বড় হাড়।


৩০-১২-১৯৯৫ইং।