ভূগোল পড়ে জেনেছি গ্রহ-উপগ্রহ সবই গোলাকার
ওদের চলার পথও অনুরুপ বৃত্তাকার
অথবা যৎ-সামান্য উপবৃত্তাকার
আর চলার গতি ও আকার
তাও জানা ব্যপার ।
আয়তনে ছোট বড় হলেও সবই সাকার
তাই খালি চোখেও দেখা যায় পরিষ্কার
এবং মহাকর্ষ শক্তিতে পরিচালিত হয় ইত্যাকার ।
কিন্তু নারী হৃদয় বুঝা বড় ভার-
সাংঘাতিক কাল আর ভীষন অন্ধকার ।
যার চলার পথ-বৃত্তাকার-উপবৃত্তাকার-
কোনটাই নয়-বক্রাকার,
আয়তন ও আকার
কিছুই নাই-নিরাকার ।
পানির চেয়েও তরল আর
হাইড্রোজেন অপেক্ষাও হালকা, যার-
চলার গতিও উল্কার চেয়েও দ্রুততর ।
তাইতো অনায়াসে ঢুকে পড়ে
      পেয়ে পুরুষ হৃদয়ের খোলা দ্বার
দেয়াল ভেঙ্গে বেরিয়েও যায় সহজেই
         শুরু হয় নিদারুন হাহাকার ।
অতএব এবার
পরামর্শ অমার
মহিলা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পাশেই থাকবে
        পুরুষ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, যার
প্রধান কাজ হবে-নারী হৃদয়ের গতি রোধে
              বসানো স্পীড ব্রেকার
অথবা সব যুবকের হৃদয়ের চারিদিকে
         বসানো হোক সশস্ত্র পাহারদার।
কেউ ঢুকলে ঢুকুক-
কিন্তু বের হলেই হবে শুরু-
           চোখ বুজে বেপরোয়া ফায়ার ।


১৪-০৩-১৯৯৪ইং।