অতি বেশি নীরব কালো রাতে শহরের চোখে কালি ছুঁড়ে দিয়ে জেগে থাকো নিশ্চুপ।
চোখ টানটান কাজলে আঁটা ঠিকঠাক ভাবে।
শুধু বেঠিকে গা মেলে দিয়েছে শূন্যে ভাসানো ওড়না।
বেলকনির গ্রিল বেয়ে উঠে আসা অপত্য জোনাকির পুচ্ছ ছুঁয়ে দেখে নিয়েছো জোনাক পৃথিবীর অবাধ মুগ্ধতা।
সেই সাথে সেলফের তাকে তাকে সাজানো কবিতার ঘ্রাণ টেনে নিয়ে পাঠ করেছো নজরুল, জীবনানন্দ।
আমাকে পাঠ করোনি তুমি
তাই এ নিশিঘেরা কামড়ার হঠাৎ নিভে যাওয়া জোনাকির অন্ধ স্পন্দনের মতোই চোখ মেলে বসে আছি অপাঠ্য পান্ডুলিপির সাদা পাতায়।