একদিন চৌকাঠের ওপর হঠাৎ করেই
উদ্ভূত হবে শ্মশান, যাকে পোড়াতেন তিনি
তাকে বহুযত্নী পুতুলের খোলসে রেখেছেন এখন
যিনি ভষ্মপর্ব দেখে যাবেন, তার জন্য দামী চন্দন
উল্লিখিত ঝড়াপাতার লেনে বিবস্ত্র দাঁড়িয়ে
সেই যে সন্ধ্যাকালীন মন্ত্র জপছি
এখনো দেখতে পাইনি সুসংগত কোনো জীবন
যাকে সহজেই পরখ করে মেনে চলা যায়
যেইসব দিন রৌদ্রের বুকে মুখ লুকোতে গিয়ে
কেটে গেছে; যেইসব কৈশোরে উন্মুক্ত ঘুড়ির মতো
দিব্যি চলেছি পাহাড়িয়া জুমে হেঁটে
ফসলি মাঠের পরে জন্মানো ঘাস আর মাঝিদের
চির আবাসনে দেখেছি যখনি পহেলা মৃত্যুভয়,
থমকে গেছে বোধহীন অন্ধসুরের তান
এক-কপাল সিঁদুর শুকিয়ে ঝড়ে পড়েছে রান্নায়
লাল মরিচের মতো; তখনো দেখি জীবন
কেবল গড়িয়েই চলেছে ঘাতক জলস্রোতে
মিশে গেছে তার ওপর জলের শ্মশান, দীঘল সন্ধ্যায়