আমি, তরণী, তটিনী
একা হয়ে বাঁচি, এইতো আছি। অথচ,
আমি নিজের মাঝেই নিজে রটিনি!
না চিনিলাম পথ, আমার শপথ
না চিনিলাম মোরে আর তীক্ষ্ণ বিপথ!
হাটতে শিখে গেছি, তবে হাটতেই কেন হবে?
সহসা থমকে দাঁড়িয়ে, চলো পথ খুঁজতে হাঁটি তবে।


দাঁত ভাঙা এক নিরুদাম লোক বুঝলো অবশেষে,
কেন তার আজ এই হাল, কেন সে ভিখারীর বেশে!
নাই কিছু তার, সবই পরে আছে ভাঙা রাস্তার দ্বারে।
চিৎকারে সে গলা ফাটায়, নিয়ে চলো মোরে ওপাড়ে।
আমিতো জানিনা এপথ সেপথ, যে পথ বিপথ, তটিনীর
আমিতো হাঁদারাম, না পারিলাম সুপথ খুঁজিতে।


আজি এসে দেখি, কত বা আর বাকী? জীবন অবসানে!
নাই নাই, আজ তবে ফিরিবার পথ নাই কোনখানে।
বিপথ আমার চোখ খুইয়েছে, বিবেক নিয়াছে কেড়ে
ওরে দয়াময়, যদি মর্জি হয়- পুনশ্চ পথ খুঁজি
সুপথ, বিপথ চিনিয়া করি নতুন পথের পুঁজি।