কোন এক ঘুম শহরের খালি পায়ে হাঁটা পথিক আমি,
দিন বেঁচে ঘুম হারিয়েই নিজের জন্য স্বপ্ন কুড়াই।
আমি হাজার পথের অঙ্কগুলো এক নিমিষেই করি শেষ,
আমিই রাজা, রাজ্য সে সব, যেসবে মাতে রঙিন দেশ।


তবুও আমি সাফল্যে ঝুলে থাকি, স্বপ্ন কানে বাজে;
পথ ভুলে যাওয়া পথিক আমি, শুধু বিশ্ব আমার মগজে।
আমি নিস্বাসে বোধে সেই পথেরে করেছি লালন,
দূর্বাদলখেকো মরণের সাথে করবে বরণ।


আমি জানি আজ বিশ্ব বাজারের তীব্রতায় ঘীরে থাকা,
আমি জানি সব লাগামহীনতা আর দুর্নীতি কষে আঁকা।
প্রথম শুনিলাম কবে, কে যেন বলিল কতখানি!
মাঝরাত্তিরে পকেটে করে পাতায় মোড়ানো ফুল যেন আমি আনি।
আমি ভাবিলাম, বলিছে যে সুর দিয়ে, ফুল বুঝি ভালোবাসে;
আকস্মিকতায় ছেয়ে থেকে সে বুঝি ফুল-ঘ্রাণ খুঁজে আঁকাশে।
অতিক্রান্ত সময়ের হিসেব গুণে গুণে, বারেক তাকিয়ে আমার মুখে,
বলিলেন তিনি, একি মশাই! বোধ বুদ্ধি সব কি খেয়েছে তোমার ঘুনে?
আমি বাপু ব্যাকুলপ্রায় সেই প্রাতঃকাল হতে, ধরেছে শিরখানা,
তোমার মত আছে শতশত, তা নয়কি বেশ জানা?
ফুল যদি নাই পাও, তবে খানিক সরে দাঁড়াও,
যদি এনে থাক তবে চুপিচুপি হাত বাঁড়াও।


চারিদিক চেয়ে অপলক দেখি, কী-ইবা করার আছে!
কোন সে গুরু এড়িয়ে আমি যাব কোন সে গুরুর কাছে?
শততট ফেলে এসে ভিড়িয়েছি যেন ফুলে ভরা তটে,
বহুকাল ধরে ঘটেছে এমন, এই যে ছিল ললাটে!


হাঁটছি আবার, সরু বিদীর্ণ ফ্যাকাশে কালোমুখ করে থাকা সে পথে,
বারেবারে মাড়াই তারে, তবুও যে সে থাকে মদীয় সেই সমারম্ভ হতে।
হটাৎ বোধহয় শুনিলাম, কোথা হতে ভেসে এলো কর্কশ কণ্ঠখানী,
ক'খানা পাদুকা ফুরিয়েছ ঘষে, আমার উর্ধভাগে; বলো অংক কষিয়া আনি।


পেছন ফিরে চেয়ে থাকি যেন বছর-বছর জুড়ে, নাইকো যে কারোও সারা,
পিছুটানে ডাকছে আমায়, এ কোন সে বা কারা?
তারা কি জানে না, পথভোলা পথিকেরে পিছু ডাকিতে নাই,
পেছাতে পেছাতেই এগিয়ে যে যায় সেই যে পথিক ভাই।


কানখোলা রেখে চলা দুষ্কর, চোখ বেঁধে চলি তবে,
ঝেড়ে ফেলে দেব সব, শুনিয়াছি যা ডেকেছে কোথায় কে কবে!