চক্ষু রাখিয়া তোমারি নয়নযুগলে
হারাইয়া ফেলিয়াছি তব চোখেরই তারায়,
আপনাকে খুঁজিয়া পাইয়াছি সেথা
নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে পূর্ণ নব ধরায়।


সেথা রহিয়াছে অনন্ত পাথার
হিমাদ্রি অম্বর সম,
অপরুপ কুয়াশাসিক্ত হরিৎ প্রান্তর
দেখিয়া জুড়াইল প্রাণ মম।


দূর্বাদলে বিরাজিত সেথা
সর্বদা শিশিরবিন্দু,
স্তব্ধ চারিদিক, বিরাজে হেথা
শান্তি যাহা সম মহাসিন্ধু।


নিস্তব্ধতার অভিশাপ হইয়া
আসিলা সৃজিয়া পদধ্বনি,
ভীতিতে সহসা কাপিয়া উঠিলাম
যেন কাঁপিতেছে প্রজাপতি সৃজনী।


তেজ বুঝিলাম তৎক্ষণাৎই
স্মরিলাম আমি মহাসূর্য,
উপলব্ধিয়া তব ধাইছে মহামায়া
হাতে লইয়া মহা রণতুর্য।


অধরের কাব্য পরে বলিব
আজি বলিলাম তব অক্ষি,
তব এ রুপ দেখিয়া ঘুরিয়া ফিরিবে
সর্ব সৃষ্টি, মানব, দেব, যক্ষী।


কাব্য মম ফুরাইল হেথা
বর্ণিলাম ভগিনী প্রীতি,
আজি হেথাই টানিয়া দিলাম
তব চক্ষু বর্ণনের ইতি।