তোমার নামে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে যাই
তুলসি মঞ্চের সামনে দাঁড়াতেই;
দুনয়নে ভাসে ঐ চাঁদবদন সোনামুখ।
দিনের শুরুটা যেন তোমাতেই-
এমনকি রূপচর্চা,মেহেদী রঙ,চোখের কাজল,স্নো,
লিপস্টিক,চুল সাজানো সব যেন তোমার তরে।
জানো,আমার কাছে মসজিদ,মন্দির,প্যাগোডা,
গির্জা ভিন্ন নয় ;জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে একিরূপ
;খুঁজে পাই প্রাণের প্রিয়তম প্রিয়কে।
সর্বস্থানেই ঈশ্বর বিরাজমান;সকলে বলেন।
কদাচিৎ মনে হয়,তোমাকে মসজিদ ভেবে
ভুল করি না।প্রশ্ন করতে পার কেন?
উত্তরে বলব বিধাতার চেয়ে কম ভালোবাসি না!
তসবীতে ঐ নাম জপে কতবার ভুল করেছি;
বিধাতার ন্যায়।কি করি বলো তো?
ঈশ্বর ঈর্শান্বিত হতেই পারেন।
তাতে দোষের কিছু নয়।
তওবা করেছি ,তবুও সেজদায় একি ভুল।
মন যেন উড়াল পক্ষী মুহূর্তেই ছুটে যায়;
মেঘের পালকী চড়ে দূর অজানায়।
হায়!সোনালী স্বপ্ন !পাগলের কীর্তি অবিরত।
আচ্ছা ,তুমি কি তা বুঝ?
অনুভব কর,এই খামখেয়ালীপনা?
আমি যেমন পূজোতে বসে ভুলে ;
তোমায় ডাকতে থাকি গভীর আহবানে।
অন্তরে প্রেমবীজ অঙ্কুরিত;
বপন করেছি সযত্নে উর্বর জমিতে।
জৈবসার ও দিচ্ছি-সেই আশায়;
যদি চারা হয়,পুষ্প ফোটে ।
তবে ফল ধরবে কিনা তার জন্য নয়!
বৃক্ষের ছায়ায় হৃদয়কে শীতল করতে চাই।
ভালোবাসতে চাই প্রাণ ভরে।