এই তো সেদিন আনমনে হাঁটছিলাম
সিক্ত সবুজের বুকে আলতো পায়ে
পৃথিবীর সকল সুখ ছিল যেন ঐ নরম ঘাসে।
হঠাৎ গায়ে পড়ে কেউ ডাকল অচিন সুরে
মধুর আলাপনে অতি চমৎকার ভাবে
সকালে অপরাহ্নে গোধূলীবেলায় নিশিতে
শুভ কামনায় ডারলিং বলে।


কি অদ্ভূত !সে আমার কেউ না চিনিও না
প্রসংশা না করে পারছি না, তার ভক্তির।
আমাকে নাকি ভালোবাসে! বুঝলাম না-
ভালোবাসা কি
হাতে বানানো মুড়ির মোয়া!
কত ভনিতা জানে।


ঐ সর্বভূক  মানুষ জাতের প্রাণীটি
অসৎ উদ্দেশ্যে দ্বারে দ্বারে খেকো হয়ে উঠে।
আমরা কি মানুষ ছিলাম না!
এখনও আমরা মানুষ হতে পারিনি
আমরা কি কখনও মানুষ হবো না!
মনের যতো বিষাক্ত কামনার জল
গঙ্গায় জলাঞ্জলি দিতে পারি না।


নারী পুরুষ বৈষম্য কি চিরকালই থাকবে?
অসৎ চিন্তা বিবেকের চেয়ে ধারালো!
হায় ! বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন জীব  মানুষ হও।
শকুনকে এড়াতে তাড়াতে বেশি কিছু করতে হয় না
সে নিজেই একসময় সরে যায় আর এজন্য চাই ধৈর্য।
এসব ভাবতে ভাবতে তাকিয়ে দেখি -


“আমি বরফের সরুপথে”।
হিমেল হাওয়ায় যেন মন বেশ শীতল হয়ে উঠল
প্রাণ শক্তি ফিরে পেয়ে জেগে উঠি সূর্য হয়ে।
নব সৃষ্টির উদ্যম নিয়ে
আলোক রশ্মি আলফা গামার মতো।
এভাবেই জ্বলে উঠুক পৃথিবী এক নতুন প্রত্যাশায়।