সখি আমার,
আজ বড্ড জানতে ইচ্ছে করছে
কেমন আছ তুমি?
বয়েসের ভাড়ে যেমন নুয়ে পড়ে পুঁই লতা,
তুমি কি তেমনি আজ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে
স্বপ্নপুরির কোন জীর্ণ কুঠিতে রাত্রি যাপন কর?
যৌবনের চাঞ্চল্যতা কি আজ অতিত?
সব কি স্মৃতি হয়ে বেদনার অশ্রু ঝরায়?
তোমার চুলের সুভাষ
শরীরের মাদকতা
ডাগর চোখের চাহনি
ঠোঁটের কোনের হাসি
আলতা পায়ে কোমর দুলিয়ে হাঁটা
সবিকি আজ পরিত্যক্ত?
নাকি শো পিচ হয়ে আছে স্মৃতির পাত্রে?
ক'দিন আগে,
তোমার হাতের লেখা
শেষ চিঠিটি পেলাম ডায়রির ভাঁজে।
যাতে তুমি লিখেছিলে যৌবন দিপ্ত, আলোকিত কৈশরের প্রেমময় কথার শতদল।
মনে হলো ফিরে গেলেম সেই যৌবনে,
বাইশ বছর পূর্বে।
এখন হয়তো তোমার
শরীরের চামড়া হারিয়েছে মসৃণতা,
তোমার চাহনীতে নেই মাদকতা,
হেলে-দুলে হাঁটনা হয়তো।
লাবন্যতা হারিয়েছে তোমার কপোল।
এখন তুমি জননী।
বিভক্ত ভালোবাসা।
ভাবছি সুুন্দর সেই অতিত মুহুর্তগুলো,
মিশে ছিলাম বন্ধুত্বে দু'জন, দু'জনায়।
রচনা কাল :-
০৭/০৮/২০১৪ইংরেজী।