প্রতিদিনের মত আজ সকালে যাচ্ছি রাস্তা দিয়ে
হঠাৎ চোখ বিধে গেল এক ভবনের গায়ে গিয়ে।
দেওয়ালের পলস্তারার বয়স দিন পনের মত হবে
ভাবি নতুন পলস্তারা কেনো ফাটলো সহসা তবে?
উৎস্যূক চাহনী আঁটকে গেল দেওয়ালের চটা স্থানে
কী রহস্য? এগিয়ে, আঙুলে টোকা দিলাম সেখানে।
চট্ করে একটি আস্তরণ মাটিতে পড়ল খসে
সিমেন্টের কঠিন বাঁধন রাখতে পারিনি কষে।
সবখানে অক্ষত, এটুকুতেই শ্রীহীন দেখায় ভবনখানা
চেয়ে দেখি ভেতরে লুকিয়ে, এক ক্ষুদ্র বীজের দানা।
গৃহস্তের উঠোন থেকে সে মিশেছে বালুর সাথে
চায়না সে বন্দী জীবন, উদ্ধত দেওয়াল ভাঙতে!
একদা সে আকাশ দেখেছে, শুনেছে বাতাসের আহ্বান
নিজকে বাঁচাতে সংগ্রামেরত, চায়না এ নিষ্ঠুর বলিদান।
সে তো শুধু ক্ষুদ্র বীজ নয়, এক বৃহৎ মহীরুহ মাতা
বক্ষে রয়েছে ধারণ করে, আগামীর ফুল, ফল, পাতা।